মাতারবাড়ী সিসিডিবি’র আঞ্চলিক শাখা এরিয়া ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

fec-image

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোলফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্ট (সওজ অংশ) সিসিডিবির আঞ্চলিক শাখা বদরখালী অফিসের এরিয়া ম্যানেজার আবদু রাজ্জাক সিপিজিসিবিএল এর বিরুদ্ধে নিয়ম নীতি না মেনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে চেক বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি যৌথ জরিপ দল ও সম্পদ মূল্যায়ন পরামর্শক দলের সদস্য স্থানীয় চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে অবজ্ঞা করে মাতারবাড়ীর রাজঘাটের দোকান মালিকদের সাথে আঁতাত করে এরিয়া ম্যানেজার আবদু রাজ্জাক ২২ এর অধিক দোকানদারের কাছে চেক বিতরণ করেছে বলে অভিযোগ করে মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, এতে এক দিকে দোকান মালিকরা লাভবান হলেও ব্যবসায়ীদেরকে পথে বসিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, পানের দোকানের ব্যাবসায়ী, চায়ের দোকানদার, তৈল ব্যবসায়ী, সেলুন ও কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের সকলকে এক পাল্লায় তুলে গড়ে ৫৩ হাজার ৪শ ৬০ টাকা করে বদরখালী অফিসে নিয়ে চেক বিতরণ করেছে। অথচ অনেক ব্যবসায়ীর লাখ লাখ টাকা মাঠে বকেয়া রয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, ভূমি অধিগ্রহনাধীন ভৌত কাঠামো, গাছপালা ও অন্যান্য ক্ষতির পরিমাণ ও তার মালিকানা নির্ধারণের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে আহবায়ক, একজন জেলা প্রশাসকের মনোনীত প্রতিনিধি সদস্য, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন সদস্য ও কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেডকে সহায়তাকারী এনজিও এর এরিয়া ম্যানেজারকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি যৌথ জরিপ দল গঠন করে দিয়েছেন। অপরদিকে একই কায়দায় ক্ষতিগ্রস্থ ভৌত কাঠামো, গাছ পালা ও অন্যান্য ক্ষতির পরিমাণ চলতি বাজার অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণের জন্য সম্পদ মুল্যায়ন পরামর্শক দল গঠন করে দিয়েছেন। এতেও স্থানীয় চেয়ারম্যনকে সদস্য রাখা হয়েছে।

অথচ সিসিডিবি বদরখালী শাখার এরিয়া ম্যানেজার আবদু রাজ্জাক এসব নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ী ও দোকানের মালিক নয় এমন গুটি কয়েক লোকজনের সাথে আতাত করে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে মাতাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের অজান্তে ক্ষতিগ্রস্থ প্রকৃত ব্যবসায়ীও দোকানের মালিকদের কাছে বদরখালী অফিসে চেক বিতরণ করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজঘাটের উচ্ছেদ হওয়া প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে গফুরের চায়ের দোকান, আক্কাছের পানের দোকান, আলী আকবরের মুদির দোকান, হোছাইন প্রকাশ কালার চাউলের আড়ৎ, শিমুল দাসের মুদির দোকান, মহিউদ্দীনের তেলের দোকান, বারেকের মাছ ফিশারী, খোকন মাছ ফিশারী, বাহাদুর মাছ ফিশারী, আবু তাহের পানের দোকানদার, গিয়াস উদ্দীন পানের দোকানদার, গাবদার তরকারী ব্যবসায়ী, সুনীল সেলুন দোকানদার ও ইউনুচ কাঁকড়া ব্যবসায়ী।

এদের মধ্যে সামান্য জটিলতা থাকায় আক্কাছ ও আলী আকবরের চেক সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে বলে অফিস সূত্রে জানা যায়। তবে কয়েকজন থেকে উৎকোচ নিয়ে ব্যবসায়ী ও অবকাঠামোর মালিক নয় এমন ব্যক্তিদের কাছে চেক বিতরণ করেছে বলেও জানা যায়। ব্যবসায়ী ও অবকাঠামোর মালিক নয় এমন ব্যক্তিদের ইশারায় উৎকোচ জায়েজ করতে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের পরিবর্তে বদরখালী অফিসে এসব চেক বিতরণ করেন।

চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মাতারবাড়ীর রাজঘাটের ব্যবসায়ী ও দোকান ঘরের মালিকদের পার্শ্ববতি কালারমারছড়ার সাথে সমান করলে হবেনা, কারণ রাজঘাট এলাকাটি দেশের রাজধানীর চেয়ে দামি। এ দামি বাজারটি উচ্ছেদ হয়ে গেলে তাদের বাপ -দাদার ব্যবসা চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলবে। তাই ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত ক্ষতি পুরণ দেয়ার জন্য আমি সিসিডিবির এরিয়া ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি। তা বাস্তবায়ন না করে আমার অজান্তে গোপনে এ চেক বিতরণ করা আইনি পরিপন্থি বলে আমি দাবি করছি।

তবে সিসিডিবির আঞ্চলিক শাখা বদরখালী অফিসের এরিয়া ম্যানেজার আবদু রাজ্জাক বলেন, আমি যা করেছি ব্যবসায়িদের  কল্যাণে করেছি, কয়েকটি বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য থাকতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি চেয়ারম্যান, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোলফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্ট
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন