parbattanews

কার মাথায় কে ছাতা ধরে?

সব কিছুরই একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। আমরা কতটুকু করবো, কতটুকু করবো না। সব মানুষেরই নীতি-নৈতিকতা,মান সম্মান বলে কিছু থাকে। এটা লঙ্ঘন করলে মানুষকে আর মানুষ বলে স্বীকার করাও বিবেকে বাঁধে। সম্প্রতি একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ছবি নিয়ে আর কারো বিবেক লজ্জিত না হলেও আমি কিন্তু শুধু লজ্জিত নয়, ব্যথিতও। কষ্টও পেয়েছি। মানুষ এত নিচে নামতে পারে কেউ অবাক না হলেও আমি রীতিমত অবাক হয়েছি। আর যে ঘটনা নিয়ে আমি লজ্জিত, ব্যথিত ও অবাক হয়েছি। আর তা হলো বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলমকে সূর্যের  আলো থেকে রক্ষা করতে সাবেক মেয়র মো: জয়নাল আবেদীনের ছাতা ধরা।

মো: জয়নাল আবেদীন ৪র্থ খাগড়াছড়ি পৌরসভা নিবাচনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন। যদিওবা এ নির্বাচনে তার বিজয় নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল। অভিযোগ ছিল দলের প্রভাব বিস্তার করে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম।

জয়নাল আবেদীন শুধু বিএনপির মেয়র ছিলেন না। তিনি এক সময় খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অবশ্যই সে সময় তিনি দলে “ভাইয়া” নামে বেশি পরিচিতি ছিলেন। কারণ তিনি সব কিছুতে “ভাইয়া ভাইয়া” বলে দলের সব সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিতেন।

অবশ্যই জয়নাল আবেদীন ৪র্থ খাগড়াছড়ি পৌরসভায় বিএনপির টিকেটে মেয়র নির্বাচিত হলেও ১/১১- এ দলে তার ভূমিকা নিয়ে দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন ছিল। কারণ সে জরুরি সরকারের আমলে বিএনপির নেতারা কেউ গ্রেফতার, কেউ হুলিয়া নিয়ে এলাকা ছাড়া হলেও জয়নাল আবেদীন ছিলেন বহাল তবিয়তে। অথচ তার বিরুদ্ধে ছিল নানা দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির মূল স্রোতের বাইরে গিয়ে দলের পদ-পদবী দখলের চেষ্টা করেছেন এমন অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের মুখে তার সকল ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়।

আমার এ লেখায় হয়তো মি: জয়নাল আবেদীন ক্ষুব্ধ হবেন। আমার কিন্তু কাউকে আঘাত কিংবা আক্রমণ করার জন্য এ লেখা নয়। কিছু কিছু মানুষের চরিত্র দেখলে নিজেকে স্থির রাখতে পারি না। প্রতিবাদ করতে ইচ্ছে করে। কাউকে আঘাত করে থাকলে ক্ষমা করবেন।

Exit mobile version