parbattanews

মানবদেহের কিডনি সুস্থ রাখার সচেতনতায় টেকনাফ থেকে পায়ে হেঁটে তেতুলিয়া

teknaf pic 15-4-15 (5) copy

টেকনাফ প্রতিনিধি:

বাঁচিব শত বছর, মানবদেহের কিডনি রাখিব নিরাপদ এ শ্লোগানে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পায়ে হেঁটে কিডনি সুস্থ রাখার সচেতনতায় আনুষ্ঠানিকভাবে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করেছে। যাত্রা শুরুর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমদ, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন বড়ুয়ার সাথে সাক্ষাত করেছেন।

তিনি বলেন, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া-পুরো বাংলাদেশ, তার পায়ে হাঁটাটি রেকর্ডের জন্যই নয়, গত এক বছর আগে তার বাম পাশের কিডনী নষ্ট হয়ে যায়। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে তার দেহের কিডনীটি অপসারণ করা হয়। এখন ডান পাশের কিডনি নিয়ে বেঁচে আছেন। তিনি খুব অসহায় মনে হলেও আর চান না তার মত অন্য কেউ আর এ সমস্যায় ভুগে যেন অকালে ঝরে না যায়। এটা ছিল তার আকর্ষণনের মূল উদ্দেশ্য।

জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ২ কোটির অধিক মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত ও প্রতি ঘন্টায় ৫জন অকাল মৃত্যুবরণ করেন।

আবু বক্কর ছিদ্দিকের এটা জীবনের প্রথম হাঁটা, ‘সবার জন্য কিডনি সমস্যা- সুস্থ ও নিরাপদ রাখার উপায়” বার্তা নিয়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাঁটছেন।

একা একা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হেঁটে যাবার সিদ্ধান্তটা ছিল অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত। তবে তিনি প্রতিজ্ঞা করছেন, স্বাভাবিকভাবেই এ পথ পাড়ি দিবেন। অসুস্থতার জন্য ডাক্তারের পরামর্শও নিয়েছেন। চলতি পথে যেখানে জায়গা হয় সেখানে তিনি অবস্থান করবেন।

তবে তিনি কারো আর্থিক সহায়তা নেননি। কেউ যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সাহায্য নিবে, বর্তমানে তার পরিবারে স্ত্রী আইরিন সুলতানা একজন গৃহিনী, মেয়ে সামিয়া ছিদ্দিকী আফরিন ৫ম শ্রেণীতে পড়ে, ছেলে আমির ছিদ্দিকী স্বাধীন ১ম শ্রেনীতে পড়ে। তার পোল্টি ফার্মের ব্যবসা রয়েছে।

তার লিপলেটে কিডনি সমস্যার লক্ষণের মধ্যে রয়েছে, মাঝে মাঝে বা সবসময় কোমরে কিট কিট করে ব্যথা, প্রস্রাবের বেগ কম হওয়া, প্রস্রাব করতে ব্যথা, গোপনীয় অঙ্গে জ্বালা পোড়া, প্রস্রাব হলুদ বর্ণের হওয়া, প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে পূজ বের হওয়া, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব অনুভব, সবসময় মাথা ঘুরানো ও খাবারে অরুচি অনুভব হওয়া এবং নিরাপদ রাখার উপায় দৈনিক ৮ লিটার পানি খাওয়া, কোমলপানীয় ও এ্যালকোহল জাতীয় পানি ত্যাগ করা, ধূমপান না করা, কোমরে ব্যথা হলে ডাক্তারের পরার্মশ নেওয়া, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যাথানাশক ও এন্টিবায়েটিক ঔষধ সেবন না করা, ফরমালিন ও রায়সানিক মিশ্রিত খাবার না খাওয়া, ফাস্টফুড এবং বিরানি জাতীয় খাবার কম খাওয়া, অধিক পরিশ্রমের পর বিশ্রাম ও প্রচুর পানি খাওয়া, ডায়বেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপে নিয়ন্ত্রণ, বসে না থেকে মাঝে মাঝে হাঁটা ও দৈনিক ৭ ঘন্টা হাঁটা।

Exit mobile version