parbattanews

মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে কচ্ছপিয়া কে জি স্কুল

বাইশারী প্রতিনিধি:

শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় কক্সবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম বলেছেন, রামুর শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্যে প্রয়োজনে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। কেননা শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারেনি, পারবেও না। তাই সকলকে সব কিছুর বিনিময়ে শিক্ষার জন্যে এগিয়ে আসতে হবে। যেমনি ভাবে এসেছেন কচ্ছপিয়ার আলোকিত মানুষ সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ। তার একটি এতিমখানাও রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রামু উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিই পাহাড়ে আচ্ছাদিত। অবহেলিত অনেক ইউনিয়নের অসংখ্য ওয়ার্ডের বর্তমানে কোন স্কুল নেই। কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়ায় আধুনিক শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকরা চিন্তিত। এ অবস্থায় ফলাফলের বিচারে কচ্ছপিয়া কে জি স্কুল সবার সেরা, মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এ স্কুল। আরো যাবে। কেননা এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও তার মিসেস উভয়েই একদল উদ্যমি শিক্ষকদের সাথে রেখে শিক্ষার এ তরী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং  দ্রুত গতিতে। তাদের এ কঠোর শ্রম বৃথা যাবে না। এলাকার মানুষ এর সুফল পাবেন অল্প সময়ের মধ্যেই। এ তার বিশ্বাস।

তিনি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১২টায় রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কচ্ছপিয়া কে জি স্কুলের  অভিভাবক সমাবেশ, বৃত্তিপ্রাপ্তদের সনদ বিতরণ ও সমাপণী পরীক্ষার্র্থীদের দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ তৈয়ব, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো. ঈসমাঈল নোমান, কাউয়ার খোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌলানা মোহাম্মদ আইয়ুব, সাবেক ছাত্রনেতা ও রামু শিক্ষা কমিটির সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষিকা তিলোত্তমা মুহুরী, জয়নাব সুলতানা জয়া ও সাহাবুদ্দিন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে (ই্ংরেজিতে) বক্তব্য রাখে পরীক্ষার্থী আনাস বিন খালেদ, পরীক্ষার্থী মুজিবুর রহমান ও স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড ফোরের ছাত্র ওসমান গনি মাহিন।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা স্কুলের বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০ শিক্ষার্থীর হাতে সনদ ও পরীক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন। এতে উপস্থিত শতশত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মহা খুশি।

Exit mobile version