মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
মানিকছড়ি উপজেলার বড়ডলু মাস্টার পাড়া গ্রামের যুবক মো. হাসান (২০) ও ফুল মিয়া (২৩) নামক দুই যুবক কর্তৃক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী (১৭)।
খবর পেয়ে পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে ধর্ষককে ধরতে পুলিশ তৎপর হওয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ফুল মিয়া (২৩) কে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ডলু মাস্টার পাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন এর ছেলে মো. হাসান (২০) ও মাহমুদ আলীর ছেলে ফুল মিয়া (২৩) চট্টগ্রাম শহরে লোকাল বাস চালক ও হেলপার হিসেবে কাজ করে এবং বায়েজিত থানার শেরশাহ কলোনীতে বসবাস করত। এ সুবাদে ওই শেরশাহ এলাকার নওশেদ কলোনীর মোবারক হোসেন এর কিশোরী (১৭) এর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে ফুল মিয়া (২৩)।
পরে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং অসুস্থ মাকে দেখার কথা বলে গত ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় সহযোগী হাসানসহ ওই কিশোরীকে মানিকছড়ি নিয়ে আসে। এরপর ফুল মিয়া তার নির্জন বাড়িতে কিশোরীকে রেখে ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রতিবেশীরা টের পেয়ে রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মানিকছড়ি থানা পুলিশকে অবহিত করলে অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ পুলিশ পাঠিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করলেও বখাটেরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ ধর্ষক ও তার সহযোগীকে ধরতে অভিযানে বের হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় এবং সোর্সের মাধ্যমে ধর্ষকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বিকাল ৫টায় চট্টগ্রামের বায়েজিত এলাকা থেকে ধর্ষক ফুল মিয়াকে আটক করেন মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।
ধর্ষক ফুল মিয়াকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ।
এদিকে ধর্ষিতাকে থানায় আনার পর ঘটনার বর্ণনামতে ধর্ষক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে ওই কিশোরী অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযানে যায়।