মানিকছড়িতে জেডিসি’তে শাহানশাহ্ হক ভাণ্ডারী মাদ্রাসার কৃতিত্ব

fec-image

জুনিয়র দাখিল পরীক্ষা (জেডিসি)২০১৯ এর ফলাফল ও ঘোষিত বৃত্তির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে‘ উপজেলার অজপাড়া গাঁ গোরখানায় প্রতিষ্ঠিত‘ শাহানশাহ্ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা। ঘোষিত বৃত্তির ফলাফলে দেখা গেছে জেডিসি’তে উপজেলায় ২ জন ট্যালেন্ট ও ৩ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্ট-১ ও সাধারণ-২জনই শাহানশাহ্ হক ভান্ডারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

জেডিসি’র পরীক্ষা শেষে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা র্বোড। ঘোষিত বৃত্তিতে উপজেলায় জেডিসিতে বৃত্তি পেয়েছে মোট ৫জন। এর মধ্যে ২জন ট্যালেন্টপুল ও ৩ জন সাধারণ কোটায়।

এই ৫জনের মধ্যে ৩জনই উপজেলার অজপাড়া গাঁ গোরখানা গ্রামে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত‘ শাহানশাহ্ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা’র শিক্ষার্থী। এরা হলেন, ট্যালেন্টপুলে মো. আবদুল সোবান, সাধারণ কোটায় মো. রবিউল ফারুক ও রোকসানা আক্তার রুবি। এছাড়া প্রাথমিক (ইবতেদায়ী) শাখায় মো. মহিন মিয়া সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মাদ্রাসায় অব্যাহত সাফল্যে অভিভাবক ও শিক্ষকরা খুশি।

উপজেলার অনগ্রসর জনপদ তুলাবিল, গোরখানাসহ আশে-পাশের ৪/৫ গ্রামে পূর্বে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় এ জনপদ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল বললেই চলে। জনপদে শিক্ষার বিকল্প নেই বিষয়টি অনুধাবন করে ওই জনপদের আলোকবর্তিকা ও উপজেলা সদর ইউপি’র চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক উপজেলা উদীয়মান সাংবাদিক ও শিক্ষানুরাগী মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী সরকারি ডিগ্রি কলেজ’র শরীরচর্চা প্রভাষক মো. মনির হোসেন’কে সাথে নিয়ে ২০১৫ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও এ বিদ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আর্থিক সংকটে জর্জরিত।

শুরুতেই পড়ালেখায় সাফল্য থাকায় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের সু-নজর পড়েছে মাদ্রাসার প্রতি। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা’র বিশেষ বরাদ্দ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ৪০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ শুরু করেছে। ১১জন শিক্ষক ও ২জন কর্মচারীর বেতনভাতা চলছে ‘শাহানশাহ্ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী(কঃ)ট্রাস্ট ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের দান-অনুদানে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, উপজেলার অনগ্রসর জনপদে ইতোপূর্বে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। ফলে নিরক্ষর একটি জনপদে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে বিদ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন