parbattanews

মানিকছড়িতে ‘নরসুন্দর কারিগর’ সেলুন ব্যবসায়ীদের পাশে কেউ নেই!

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি বিধি-নিষেধে মানুষজন গৃহবন্দী কর্মহীন। মানিকছড়ির হাট-বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান-পাট দিনের কিছু সময় খোলা থাকলেও ‘নরসুন্দর কারিগর’ সেলুন পেশায় জড়িতরা লকডাউনের শুরু থেকেই কর্মহীন! ফলে তাদের সংসারে স্মরণীয় দূর্যোগ অতিক্রম করলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কেউই তাদের পাশে দাঁড়ায়নি।

সেলুন ব্যবসাী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি‘করোনা’র প্রাদূর্ভাব মোকাবেলায় সরকারি বিধি-নিষেধে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপি চলছে লকডাউন। ফলে হাট-বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি, খাবার, ঔষধ, কাঁচা-বাজার ব্যতীত সকল দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।

এর মধ্যে ‘নরসুন্দর কারিগর’ সেলুন ব্যবসায়ীরা সম্পূর্ণরুপে গৃহে অবরুদ্ধ! ফলে তাদের সংসারে চলছে দূর্বিসহ দুঃসময়। সেলুন মালিকদের পাশাপাশি স্টাফ’রাও বেকার। ফলে সেলুন ব্যবসায়ী সকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মহাসংকটে পড়েছে।

উপজেলা সদর রাজবাজার, তিনটহরী, গচ্ছাবিলে ছোট-বড় দেড় শতাধিক দোকানে এক দেড়শ নাপিত এখন কর্মহীন। আর পুরো উপজেলায় এ ব্যবসায় প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তি সেলুন ব্যবসায় জড়িত। তাদের আয়-রোজগার না থাকায় পরিবারে খাদ্যসংকট ভয়াবহতা আকার ধারণ করলেও এখনো পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা সুহৃদয় ব্যক্তিবর্গরা‘নরসুন্দর কারিগর’ সেলুন ব্যবসায়ীদের খোঁজ নেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকছড়ি সেলুন ব্যবসায়ী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক সমীর কান্তি শীল জানান, উপজেলার সেলুন ব্যবসায় জড়িতরা এ মুহূর্ত্বে দুঃসময় অতিক্রম করছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি’র নিকট আমাদের তালিকা ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হলেও এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ কোন ত্রাণ-সামগ্রী পায়নি। ফলে ঘরে ঘরে অভাব চরম আকার ধারণ করছে।

এ ব্যাপারে মানিকছড়ি সদও ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক জানান, আমার অধিনস্থ হাট-বাজারে যে সমস্ত নাপিত রয়েছে। তাদের মাঝে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণে কাজ চলছে।

Exit mobile version