মানিকছড়িতে ফার্নিচার ব্যবসার আড়াঁলে রমরমা কাঠ বাণিজ্য


পাহাড়ের ঐতিহ্য সবুজ বনাঞ্চল। আর এই সবুজ বৃক্ষরাজি ধ্বংসে মানিকছড়িতে চলছে অবৈধপন্থায় ফার্নিচার ব্যবসা। উপজেলার বৈধ ও অবৈধ ত্রিশাধিক স’ মিলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চেরাই করা কাঠ দিয়ে ফার্নিচার তৈরির পাশাপাশি গোল কাঠ হিসেবে উপজেলার আন্তঃসড়ক হয়ে অবাধে যাচ্ছে সমতলে। এ যেন কাঠের অবাধ বাণিজ্যের নিরাপদ রুট মানিকছড়ি।
বনবিভাগ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, সমতল জেলা চট্টগ্রাম ও ফেনীর নিকটবর্তী খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানায় রয়েছে বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়। যদিও এখানে জনবলের অভাব এই অফিস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই।
বনবিভাগে জনবল কম থাকার সুযোগে উপজেলার ৪/৫টি আন্তঃসড়ক হয়ে উঠেছে অবৈধ কাঠ ব্যবসার নিরাপদ রুট। উপজেলার শতাধিক অবৈধ ফার্নিচার দোকানে প্রতিনিয়ত আসবাবপত্র তৈরি করে বিনা রাজস্বে, বিনা বাঁধায় সমতলে নিয়ে কোটি, কোটি টাকার মালিক হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অথচ এই বিশাল সম্ভাবণাময় খাত থেকে এক টাকা রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার।
প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে অনায়াসে এসব নামী-দামী সেগুন, মেহগনি, আকাশি কাঠের ফার্নিচার এবং গোল কাঠ নানা পন্থায় সমতলে অবাধে পাচার হচ্ছে। উপজেলার আন্তঃসড়কে প্রশাসনিক কোন নিরাপত্তা চৌকি না থাকায় এবং বনবিভাগের জনবল কম থাকায় এসব অবৈধ ফার্নিচার ব্যবসা বা এই ব্যবসার আড়ালে চলমান কাঠ ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না।
আর এই অবৈধ ব্যবসায় অবাধ সুযোগ থাকায় কেউই ফার্নিচার ব্যবসার জন্য বনবিভাগের লাইসেন্স কিংবা অনুমোদন নিতেও প্রয়োজন বোধ করছেনা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গাড়িটানা বনবিভাগের নবাগত কর্মকর্তা উলামং চৌধুরী বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। রেকর্ড পত্রানুযায়ী এই উপজেলায় বৈধ কোন ফার্নিচার দোকান নেই। কেনই বা ব্যবসায়ীরা সরকারী অনুমোদন বা লাইসেন্স নিচ্ছে না, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে এ বিষয়ে আমি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে বিহীত ব্যবস্থা নেবো।