parbattanews

মানিকছড়িতে বস্তায় আদা চাষে সফল প্রান্তিক কৃষক আবুল কাশেম

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কৃষিখাত। ডিজিটালের বদৌলতে এখন গ্রাম- বাংলার প্রান্তিক কৃষকও গুগল চার্জে নতুন নতুন চাষ পদ্ধতি নিয়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে পেরেছেন। মানিকছড়িতে এমনিভাবে বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি রপ্ত করে সফল হয়েছেন প্রান্তিক কৃষক মো. আবুল কাশেম। মাত্র দুইশতক জমিতে ৭ শত বস্তায় সৃজিত আদায় ভালো ফলনের আশা।

 উপজেলার হাজীপাড়ার নো. আবুল কাশেম বিদেশ ফেরত একজন পরিশ্রমি ও উদ্যোমী ব্যক্তি। দীর্ঘ ৩ দশক প্রবাসে ( লেবানন) কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে আরো স্বাবলম্বী হওয়ার ইচ্ছায় মিশ্র ফলদ ও বনজ বাগানের ফাঁকে ফাঁকে ছায়া ও রৌদ্র মিশ্রিত ২ শতক জমিতে এই প্রথম তিনি চাষ করেন ৭ বস্তা আদা। প্রতি বস্তায় পরিমাণ মতে সার, ওষধ প্রয়োগ করে তাতে ২ টুকরো আদা সৃজন করেন তিনি। এখন প্রতি বস্তায় ৪/৫ টি করে উদিত গাছে পরিপক্ক হয়ে উঠেছে বাগান। ৭’শ বস্তা আদা চাষে মোট ব্যয় হয়েছে ১৬/১৭ হাজার টাকা। আয় হবে কমপক্ষে ৬০/৭০ হাজার টাকা।

সম্প্রতি প্রান্তিক কৃষক মো. আবুল কাশেম কর্তৃক নতুন পদ্ধতি অনুসরণে বস্তায় আদা চাষে চমকের খবর পেয়ে সরজমিনে গেলে আলাপকালে প্রান্তিক কৃষক মো. আবুল কাশেম বলেন, আমি পরিশ্রম করতে পছন্দ করি। এতে অর্থনৈতিক ও শারীরিক সফলতা পাওয়া যায়। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে আমি কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করে মিশ্র ফলদ, বনজ বাগানের ফাঁকে ফাঁকে ছায়া-রৌদ্র জায়গায় বস্তায় আদা চাষে আমি সফল। আগামীতে একই বস্তায় প্রথমে মিষ্টি আলু চাষ করে তা উঠানোর পর তাতে আবার আদা লাগাবো। প্রতি বস্তায় ৩ কেজির বেশি আদা হবে বলে আশা করছি। আমার ৭’শ বস্তায় সব মিলিয়ে ব্যয় ১৬/১৭ হাজার টাকা। আদা হবে কমপক্ষে ১৫০০- ২০০০কেজি। আয় হবে ৬০/৭০ হাজার টাকা।

এ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্নকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন কাউসার আফ্রাদ বলেন, বস্তায় আদায় চাষে গাছে শক্তিধারণ ক্ষমতাবৃদ্ধি পায়। উপজেলার কুমারী এলাকায়ও মিশ্র ফলের বাগানের চারপাশে মাটি ক্ষয়রোধে বস্তা বসিয়ে তাতে আদা চাষ করা হয়েছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ। আর ওই গাছে ফল বেশি হওয়া স্বাভাবিক। কৃষিবিভাগ এ ধরণের আগ্রহী ও পরিশ্রমি কৃষকদের যে কোন পরামর্শ বা সহযোগিতায় বদ্ধপরিকর।

Exit mobile version