মানিকছড়িতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা: ধর্ষক আটক
মানিকছড়ি উপজেলার অভিভাবকহীন স্কুল ছাত্রী(১৯)কে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগে যুবক মো. রাসেল হোসেন(২২)কে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার বড় ভাই মো. মিজান উদ্দীন(২৮)। মামলার পর পুলিশ আসামি মো. রাসেল হোসেন(২২)কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটহরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর পিতা-মাতাহীন এক ছাত্রী(১৯)কে উপজেলার তিনটহরী ইউপি’র শান্তিনগর গ্রামের যুবক মো. রাসেল হোসেন (২২),পিতা- মো. জামাল হোসেন, মাতা- রওশনারা বেগম বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘ ১ বছরের অধিক সময় ধরে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। উভয়ে এক পর্যায়ে শারীরিক সর্ম্পকে একাধিকবার লিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০মে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ঘরের বাহিরে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন প্রেমিক মো. রাসেল হোসেন। কিন্তু ঘটনাটি জনৈক ব্যক্তি দেখে ফেলায় ছেলে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েকে প্রতিবেশিরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার বিবরণ দেয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে জনপ্রতিনিধিরা। অভিযুক্ত যুবক মো. রাসেল হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রেম নিবেদনের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন! ফলে অমিমাংসিত বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন ইউপি মেম্বার ঝুলন ভট্টাচায্য। পরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ধর্ষিতার বড় ভাই মো. মিজান উদ্দীন ধর্ষিত বোনকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত আবেদন করলে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ধর্ষক মো. রাসেল হোসেন(২২)কে আসামি করে মামলা রুজু করেন। মামলা নং৩, তারিখ-২০.০৫.২০২১খ্রি.। পুলিশ আসামি মো. রাসেল হোসেন (২২)কে আটক দেখিয়েছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষিতার বড় ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক মো. রাসেল হোসেন(২২)কে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করায় পুলিশ আসামীকে আটক করেছে। আটক আসামীকে জেল-হাজতে প্রেরণ করার উদ্দেশ্যে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে।