মানিকছড়িতে হালিম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

fec-image

মানিকছড়ি উপজেলার সাপমারাস্থ নোনাবিলে নিজ জমি চাষাবাদে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত আবদুল হালিম(৫০) লাশ আটকে প্রতিকী সমাবেশ করেছেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

হালিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা ও বিমল কুমার ত্রিপুরাগংদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসনকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি হুশিয়ারী দিয়েছে। বাড়িতে লাশ আনার পর পরিবারে শোকের মাতম নেমে আসে। পরে তাকে দাফন করা হয়।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাপমারার নোনাবিল গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আবদুল হালিম তার দুই ছেলে রাকিবুল ইসলাম ও রিফাত ইসলামকে নিয়ে ১৪ জুলাই সকালে জমিতে হালচাষ করছিল। এ সময় তারা জমির পাড় পরিষ্কার করতে গেলে পাশ্ববর্তী টিলায় বসবাস করা পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা ও তার ছেলে বিমল কুমার ত্রিপুরা দলবল নিয়ে তেড়ে এসে উপুর্যপুরী হামলা করে। এতে আবদুল হালিম(৫০) ও তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৫), রিফাত ইসলাম(২২) গুরুত্বর আহত হয়।

আহতদের উপজেলা হাসপাতালে আনা হলে গুরুতর আহত আবদুল হালিম(৫০) ও তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৫)কে তাৎক্ষণিক চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় চমেক হাসপাতালে মারা যায় আবদুল হালিম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জনপদে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিকাল ৫টার পর লাশবাহী গাড়ীটানা বাজারে আসলে লাশের সামনে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে প্রায় ২০ মিনিট প্রতিকী সমাবেশ করেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ ও বিক্ষুব্দ জনতা।

এ সময় পাবর্ত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর খাগড়াছড়ি সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মোক্তাদীর হোসেন বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জড়িত পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা ও তার ছেলে বিমল কুমার ত্রিপুরাগংদের বিচার করতে হবে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জড়িতরা গ্রেফ্তার না হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। পরে মানিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহনূর আলম সঙ্গীয় পুলিশসহ লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে হালিমের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নোনাবিল বাড়িতে। লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স দেখে শোকের মাতম শুরু হয় জনপদে। এ সময় নিহতের পরিবার-পরিজন ও স্ত্রী-পুত্রের কানায় আকাশভারী হয়ে উঠে। নিহতের শোকাহত ছোট ভাই মো. মামুন এই নির্দয়- নির্মম ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহনূর আলম উপস্থিত সকলকে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠুবিচারে প্রশাসন কাজ করছে বলে আশ্বস্ত করেন।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহনূর আলম জমির পুরানো বিরোধে সংঘটিত ঘটনার চিকিৎসাধীন আবদুল হালিম মারা গেছে। এই ঘটনায় নিহতের স্বজনদের লিখিত অভিযোগে হত্যা মামলা হবে। আসামীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন