parbattanews

নদী ভাঙ্গণের মুখে মানিকছড়ির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

বর্ষা শুরু হতে না হতেই নদী ভাঙ্গণের মুখে বিলিন হতে চলেছে মানিকছড়ির ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত তিন সহস্রাধিক শিশু-কিশোর নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। ভাঙ্গনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠগুলো। ব্যাহত হবে পাঠদান।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বুক চিরে প্রবাহিত মানিকছড়ি খাল এবং হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল বলে খ্যাত বাটনাখালে ভয়াল ভাঙ্গণে হারিয়ে যেতে বসেছে মানিকছড়ির একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রাজবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইংলিশ স্কুল, তিনটহরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাটনাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাটনাতলী উচ্চ বিদ্যালয়টি।

রাজবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাটনাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো উপজেলার অনেক ঐতিহ্যবহন করে। কিন্তু প্রশাসনের সু-দৃষ্টির অভাবে বিগত সময়ের প্রবল বর্ষায় নদী ভেঙ্গে একাকার। অবস্থা এমন হয়েছে নদীর ভাঙ্গণ স্কুলের ওয়াল ছুঁইছুঁই অবস্থা! ছুটি কিংবা বিরতিতে শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গণের পাশে দাঁড়িয়ে নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আনন্দ উপভোগ করে। নদী ভাঙ্গণে মানিকছড়ির শিক্ষাঙ্গনে যখন আতঙ্ক চলছে তখন প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন।

জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধে এবং সরজমিন প্রত্যক্ষ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা ও ইউএনও মো. আহ্সান উদ্দীন মুরাদ। বাটনাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অংক্য মারমা জানান, স্কুল চলাকালে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। যে কোন মূহুর্ত্বে ছেলে-মেয়েদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ।

এ প্রসঙ্গে বাটনাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ইউপি’র ঐতিহ্যবাহী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উচ্চ বিদ্যালয়টির উত্তর-পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত খালের ভয়াল ভাঙ্গণে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান দু’টির মাঠ নদী গর্ভে চলে গেছে! এ ব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) রুবাইয়া আফরোজ জানান, নদীর গর্ভে বিলিনের আশঙ্কাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সচিত্র প্রতিবেদনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রকল্প উপস্থাপনসহ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা বলেন, বিগত বর্ষায় ভাঙ্গণের সূত্রপাত হওয়া জনপদের বাস্তব চিত্র সর্ম্পকে অবহিত হয়ে করণীয়ের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দের বিষয়ে সাড়া পাওয়া গেলে দ্রুত এসব ভাঙ্গণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version