parbattanews

মানিকছড়ি প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন

খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২১ সবার নজর কেড়েছে। ১১টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ৭টি পদে সকলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও একমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে টানা ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনটি পদে কেউই মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেনি।

প্রেসক্লাব সূত্রে জানা গেছে, জেলার প্রবেশদ্বার মানিকছড়িতে ১৯৯৩ সালে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলম হাত ধরে এ জনপদে ধীরে ধীরে জাতির আয়না বলে খ্যাত সাংবাদিকতার প্রসার ঘটে। যেখানে আজ ১৬ জন সাংবাদিক জেলা, উপজেলায় অবস্থান করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কাজ করছেন।

গত ২৩ জুলাই ক্লাবের কার্যকরী পরিচালনা পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২১ এর নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশন এসএম জাহাঙ্গীর আলম। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১১টি পদের মধ্যে সভাপতি, সহসভাপতিসহ ৭টি পদে সকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ৩টি কেউই মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেনি।

কেবল সাধারণ পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে টানা ১৫ বছর দায়িত্বে থাকা বিশিষ্ট সংগঠক, শিক্ষক, সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত প্রেসক্লাব, শিল্পকলা একাডেমি, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, উপজেলা গ্র্যাজুয়েট ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান (আজকের পত্রিকা), প্রতিক-ল্যাপটপ, ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম (গণমুক্তি) প্রতিক- ক্যামরা ও ক্লাবের নতুন সদস্য এইচএম আলমগীর হোসাইন ( ভোরের কাগজ) প্রতিক-কলম নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দীর্ঘ দিন জনপদে সাংবাদিকতার সুনাম অক্ষুন্ন রেখে দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান এর পদটি দখলে নিতে অপর দুই প্রার্থী মরিয়া।

৬ আগস্ট বিকালে ১৬ জন ভোটারের ভোটে কে হচ্ছেন ক্লাবের দ্বিতীয় কর্নধার এটি দেখার প্রহর গুনছেন উপজেলাবাসী। ইতোমধ্যে ক্লাব চত্ত্বর ব্যানার ঢেকে ফেলা হয়েছে এবং সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসএম জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী নির্বাচন কমিশনার মো. মনির হোসেন ও মোঃ রবিউল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Exit mobile version