মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
শত বছরের ঐতিহ্যে ঘেরা মংরাজার আবাসস্থল মানিকছড়ির রাজ বাজার। আজ অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল, পয়ঃনিষ্কাশন, অপরিকল্পিত স্থাপনাগড়াসহ নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে এ বাজারের ব্যবসায়ীদের দূর্দিন চলছে।দীর্ঘ দিন এ বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া দৃশ্যত কেউ দেখেনি। এভাবেই এক সময়কার জাঁকজমকপূর্ণ রাজ বাজার হারিয়ে যেতে বসেছে তার ঐতিহ্য ও জৌলুস।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মানিকছড়ি রাজ বাজারের প্রবেশদ্বার মংরাজ বাড়ীর গেইট আজ জরাজীর্ণ। বাজার মসজিদ গেইট, বাহারুজ্জামান মার্কেট, আকাশপুরী সিনেমা হল থেকে মূল বাজারের রাস্তা ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাজারে পানি জমে পুকুর অবস্থার রূপ নেয়। ফলে বাজার ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও স্কুলগামী ছাত্র/ছাত্রীদের দূর্ভোগের অন্ত থাকে না। এমনকি অপরিকল্পিত দোকান-পাট নির্মাণের ফলে বাজারের মধ্যখানে খুচরা পসরা নিয়ে কেউ বসতে পারেনা। এতে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বহিরাগত বিক্রেতাদের। ফলে গ্রামের প্রান্তিক কৃষক, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ ও দূর-দুরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ীদের নিত্য দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
রাস্তার বেহাল দশা দেখে বাজার ব্যবসায়ীরা কিছু ভাঙ্গা ইট বালু ফেলার পর মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল এই বুঝি রাস্তার কাজ শুরু হল। কিন্তু মানুষের আশায় গুড়ে বালি! এরপর আর দেখা যায়নি কাউকে কিংবা প্রশাসনকে! অথচ প্রতিবছর এ বাজার থেকে গড়ে ১৫/২০ লক্ষ টাকার ইজারা বাবত রাজস্ব নিচ্ছে বাজার ফান্ড। কিন্তু সে অনুযায়ী এ বাজারে উন্নয়নের কোন চিত্রই নজরে আসছেনা।
মানিকছড়ি বাজারের বাসায়ী মো. আসদুজ্জামান জানান, বহু বছর যাবত মানিকছড়ি বাজারে ব্যবসা করছি কিন্তু বাজারের এমন দূরাবস্থা কখনো দেখিনি। দ্রুত বাজারের রাস্তা সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে বলে তিনি মনে করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, মানিকছড়ি বাজার সেক্রেটারী মো. নুরুল ইসলাম জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা পরিষদসহ প্রশাসনের নিকট বাজার উন্নয়নের জন্য গিয়েছি।আশা করি অচিরেই ভাল কিছু করতে পারব।