বান্দরবানে হাতির সংরক্ষণ এবং মানুষ ও হাতি শান্তিপূর্ণ সহবস্থান কর্মশালা

Bandarban elephant action pic-15.5.2014

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
বাংলাদেশের চরম সংকটাপন্ন বণ্যহাতির আবাসভূমি সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজানভেশন অব নেচার (আই ইউ সি এন) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ হাতি সংরক্ষণ কর্ম পরিকল্পনা’ বা বাংলাদেশ এলিফ্যান্ট এ্যকশন প্লান্ট নামে দশ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

আই ইউ সি এন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সাবেক বনবিভাগের প্রধান ইশতিয়াক উদ্দিন আহমাদ জানান, ২০০৩ সালে দেশে বণ্যহাতির সংখ্যা ছিল ২২৭টি। বর্তমানে এর সংখ্যা কমে আসছে। তিনি বলেন, বণভূমির উপর অতিরিক্ত চাপ নানা কারণে হাতির আবসস্থল দিন দিন সংকোচিত হয়ে আসছে। যেমন বনাঞ্চল উজার, হাতির আবাসস্থল ধংস, খাদ্যের অভাব, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, হাতির চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ নানা কারণে দেশে বন্য হাতি এখন চরম সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। যার কারণে হাতি লোকালয়ে এসে জনবসতি এলাকায় আক্রমন করছে। এ প্রকল্পে মূল উদ্দেশ্য হাতির সংরক্ষণ ও মানুষ-হাতি শান্তিপূর্ণ সহবস্থান।  বাংলাদেশ এলিফ্যন্ট এ্যকশন প্লান্টের মাধ্যমে (২০১৫-২০২৫) দশ বছর দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহন করেছে।
এ উপলক্ষে বৃস্পতিবার বান্দরবানের পর্যটন মোটেল মিলনায়তনে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈলা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আই ইউ সি এন এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. অপরুপ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম, পাল্পউড ও প্লান্টেশনের বান্দরবান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমীর আব্দুল্লাহ মুঃ মঞ্জুরুল করিম, প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোতালেব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া কর্মশালায় জনপ্রতিনিধি হেডম্যান কারবারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা হাতির সর্বশেষ সংখ্যা ও গতিবিধি জানা যাবে।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, ময়মনসিংহ, শেরপুর, চট্টগ্রাম এলাকার মাঠ পর্যায় থেকে বন্যহাতি সমস্যাগুলো তুলে এনে বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: হাতি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন