parbattanews

মামলার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি আসামি

হামলায় আহত মোঃ জামাল হোসেনকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে দেখতে যান রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ জামাল উদ্দিন।

রাঙ্গামাটি শহরে মো. জামাল হোসেন (৩৩) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত জামাল হোসেন শান্তি নগর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় গত ১১ জুলাই রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানায় আহত জামাল হোসেনের ছোট ভাই মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

আসামীরা হলেন, মো. সাদ্দাম হোসেন(৩১), মো. শেখ সেন (৪৪), মো. সাগর (২০) মো. অয়ন (২১) ও মো. রমিছ। আসামীরা সকলই শান্তি নগর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী আহত জামাল হোসেনের ছোট ভাই কামাল হোসেন জানিয়েছেন, গত ৯ জুলাই রাতে শহরের ফিসারী ঘাট জামে মসজিদ থেকে তারা দুই ভাই এক সাথে এশার নামাজ আদায় শেষে বাসায় ফিরছিলেন। ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় অতর্কিতভাবে স্থানীয় কিছু বখাটে সাদ্দাম, শেখ সেন, রমিজ ও সাগর মিলে তাদেরকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

এসময় বখাটে সাদ্দাম ফার্নিচারের দোকানে ব্যবহৃত লোহার ধারালো বাটাল জামালের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। জামালের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান কামাল হোসেন।

এদিকে মামলার বাদী কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১১ জুলাই রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানায় আহত জামাল হোসেনের ছোট ভাই মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করেন। অথচ আসামীরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।বর্তমানে বিবাদীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং মামলার বাদীও যদি আসামীদের দেখে থানায় খবর দেয় তাহলে সাথে সাথেই গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version