মামলার ৩ দিন পরও আটক হয়নি ভন্ড কবিরাজ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
জেলার লংগদু উপজেলায় এক গৃহবধুকে স্বামীর সাথে মনের মিল করিয়ে দেবে এবং স্বামী নিজে এসে গৃহবধূকে নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে যাবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে চিকিৎসার নামে হলুদ রঙের শাড়ি পড়ায় ওসমান নামের এক ভন্ড কবিরাজ।
চিকিৎসার এক পর্যায়ে গৃহবধূকে শরবতের সাথে নেশা জাতীয় পানীয় খাওয়ালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সুযোগে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ভন্ড কবিরাজ ওসমান।
উপজেলার ইয়ারংছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এ ঘটনায় (২০ এপ্রিল) ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূর বাবা লংগদু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের ভিত্তিতে কবিরাজের তিন সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষক ওসমান কবিরাজ বাঘাইছড়ি উপজেলার মোস্তফা কলোনি এলাকার মৃত তফসির আহম্মদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূর সাথে তার স্বামীর মনোমালিন্য হওয়ায় বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে গৃহবধূ। বাবার বাড়ি থেকে গ্রামের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায় গৃহবধূ। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল ভন্ড কবিরাজ ওসমান। পরে আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় গৃহবধূর সাথে। সেখানে গৃহবধূর স্বামীর সাথে মনের মিল করিয়ে দেবে এবং স্বামী নিজে এসে গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাবে এমন প্রলোভন দেখালে গৃহবধূ কবিরাজের নিকট চিকিৎসা নিতে রাজি হয়। পরে জ্বীন হাজিরের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা বলে গৃহবধূকে হলুদ রঙের শাড়ি পড়ানো হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে গৃহবধূকে শরবতের সাথে নেশা জাতীয় পানীয় খাওয়ালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সুযোগে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ভন্ড কবিরাজ ওসমান।
এ বিষয়ে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখনও ধর্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।