parbattanews

মারা গেলেন গুলিবিদ্ধ শ্রমিক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম 

সন্ত্রাসীদের হাতে গুলিবিদ্ধ কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার মারা গেছেন।ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

রবিবার (৭ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারি।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদার ও তার ভাই জহির ইসলাম সিকদারকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ জহিরকে প্রথমে কক্সবাজার ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জহির ইসলাম সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংরোড এলাকার মোহাম্মদ জামাল আহমেদের ছেলে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ঝিলংজা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ। তিনিও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তাঁর ভাই কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসে দুর্বৃত্তরা গুলি চালায়। মোটর বাইকে করে আকস্মিক এসে সরাসরি কুদরত উল্লাহ সিকদার ও জহির উল্লাহ সিকদারকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তাঁরা ২জনই মাটিতে লুটে পড়ে। এসময় কুদরত উল্লাহ সিকদারের সহকারীসহ আরও কয়েকজন আহত হয়।

জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারি বলেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লিয়াকত বাহিনী এই ঘটনা ঘটায়। তাঁরা বার বার কুদরত উল্লাহর নির্বাচনী সভায় হামলা করে আসছে।

উল্লেখ্য, ভোটের আগে এমন কিছু ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে কয়েকদিন আগে নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন কুদরত উল্লাহ সিকদার।প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী লিয়াকত আলীও এমন ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছিলেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া ভন্ডুল ও দুই প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ লাগিয়ে দিতে তৃতীয় কোনো পক্ষ এ কাজ করেছে কিনা, তদন্তের দাবি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

Exit mobile version