টেকনাফ প্রতিনিধি:
সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী থেকে ১৪ মালয়শিয়াগামী রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।
এরা হলেন, উখিয়ার বালুখালী জামতলীর মৃত নুরুল আলমের ছেলে মো. ইয়াছিন (২২), বালুখালীর মো. সালামের ছেলে মো. ইসলাম (২৬), থাইংখালী মো. শফিকের ছেলে মো. খায়রুল আমীন (১৮), সৈয়দ কালামের মেয়ে আনোয়ারা বেগম(১৮), মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রহিমুল্লাহ (১৬), মৃত ইমান হোসেনের ছেলে মো. জাকের আহাম্মেদ (১৯), কুতুপালং মৃত আবুল কাসেমের ছেলে মো. ছৈয়দুল আমিন (১৯), মৃত আবুল কাসেমের ছেলে মো. সুলতান (৪৫), মৃত কামালের ছেলে মো. ফরিদুল আলম (১৮), নয়াপাড়া মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. হোসেন (১৭), থাইংখালীর মো. আব্দুর রবের মেয়ে নুর বাহার (১৮), বালুখালীর মৃত আব্দুর গফুরের মেয়ে বিবি খতিজা (১৮), মধুছড়ার মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে খোরশিদা (১৬), মো. নুর ছালামের মেয়ে রফিজা (১৮)।
মঙ্গলবার সকালে শাহপরীর দ্বীপ বিওপির সুবেদার মো. নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টহলদল শাহপরীর দ্বীপ গোলারচর দক্ষিণপাড়া সাগরতীর থেকে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা জানায়, তারা কুতুপালং ডি/৫ ব্লকের মো. আইয়ুব আলী (৪০) তার ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৮৫০-৪৮৮১৭৬ নামে এক দালালের মাধ্যমে প্রতিজন ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে গত ২ নভেম্বর সাবরাং কচুবনিয়া এলাকা দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকাযোগে রওয়ানা করে এবং পরবর্তীতে গত ৫ নভেম্বর দালালচক্র তাদেরকে গোলারচরে নামিয়ে দিয়ে অতিদ্রুত গভীর সমুদ্রে চলে যায়। নামানোর পূর্বে তাদেরকে বলে যে, মালয়েশিয়া চলে এসেছি এখন তাড়াতাড়ি নেমে যাও। রোহিঙ্গা নাগরিকগণ থাইংখালী, বালুখালী, কুতুপালং, নয়াপাড়া, জামতলী ও মধুছড়া (কুতুপালং) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করতো এবং তাদের নিবন্ধন কার্ড রয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোম্মাদার জানিয়েছেন, স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় ১৪ জন মালয়শিয়াগামীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলা। এরা সবাই রোহিঙ্গা, বালুখালী, কুতুপালং, থাইংখালী ও নয়াপাড়া ক্যাম্পে বসবাস করছেন। আটককৃতরা রোহিঙ্গা হওয়ায় তাদেরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।