মাটিরাঙ্গায় আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ক্ষমাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি একই সময় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় গত ১৩ আগস্ট দলীয় কাউন্সিলের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। সে মোতাবেক গত ৩০ আগস্ট কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। তবে ওই দিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি আছে বলে প্রশাসন থেকে কাউন্সিলের অনুমতি না পাওয়ায় অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলের তারিখ ধার্য করা হয়। পরবর্তীতে ৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব নির্ধারিত একই স্থানে আওয়ামী লীগ কর্মসূচির ঘোষণা করলে পুলিশ-প্রশাসনের অনুরোধে পুনরায় পৌর বিএনপির কাউন্সিল অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয়। দীর্ঘ প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় পর কয়েক দিন আগে পুনরায় আগামী ২১ নভেম্বর কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়। সে মোতাবেক কাউন্সিলের যাবতীয় কাজ সস্পন্ন করা হয়। কাউন্সিলের ঠিক একদিন আগে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আওয়ামী লীগ পূর্বে ন্যায় একই দিনে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা বলেন, ‘বিএনপি জামাত জোট কর্তৃক সারাদেশে ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আগামী ২১ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ ও সহেযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের কর্মসূচিকে ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে পৌর বিএনপি পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমরা লক্ষ করছি ইতিমধ্যে কিছু বিএনপির বহিরাগত সন্ত্রাসী মাটিরাঙ্গা আনাগোনা করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। মাটিরাঙ্গায় যে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সব সময় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিশ্বাসী। মাটিরাঙ্গার রাজনীতি সহবস্থান বজায় রাখার স্বার্থে বিএনপি পাল্টা ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিবে বলে আশা করেন তিনি।
উভয় কর্মসূচি স্থলে কর্তব্যরত মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আমজাদ হোসেন (তদন্ত) বলেন, বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।