মাটিরাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম
পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দেওয়ানপাড়ায় অবস্থিত বড়বিলি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভনের চলছে শিক্ষাকার্য ক্রম। এছাড়াও বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক, শ্রেণি কক্ষের অভাব, পরিচালনা পরিষদের উদাসিনতা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অভবহেলাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘ ৯ বছর যাবত প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য বিদ্যালয়টির পরিত্যক্ত ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান। যে কোন সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনটির দেওয়ালের চার দিকে বড় ধরনের ফাটল। এছাড়াও শ্রেণি কক্ষের অস্বাস্থ্যকর-অপরিচ্ছন্ন ও পরিত্যক্ত পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনটি সর্ম্পকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জু মোর্শেদকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি একাধিকবার সরেজমিনে পরিদর্শনে যাওয়ার কথা বলেও পরিদর্শনে যাওয়ার সুযোগ ও সময় হয়নি বলে জানান।
তবে ইতিপূর্বে বিদ্যালয়টির শ্রেণি কক্ষের সংকুলনতা, প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য নিয়ে বার্তাসংস্থা পিবিএ প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর একজন সহকারী পুরুষ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে অন্য স্কুল হতে স্থানান্তর করা হয়। ফলে এখন সাত জন শিক্ষকের স্থলে চারজন মহিলা শিক্ষক ও একজন পুরুষ আছে। এখন প্রধান শিক্ষকসহ আরে দুটি পদ শুন্য রয়েছ।
নবাগত (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক দুলাল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও শ্রেণি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষ কম হওয়ায় পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান ও অফিশিয়াল কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে রেজুলেশনসহ ভবনের ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঞ্জু মোরশেদকে একাধিক বার অফিসে গিয়ে না পেয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি বিদ্যালয়ের ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকার জানিয়ে বলেন পরবর্তী সপ্তাহের রবিবার অফিসে যাওয়ার জন্য।
পরবর্তী সপ্তাহের সোমবার অফিসে গেলে কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে কোন কথা বলেননি শিক্ষা অফিসার মঞ্জু মোর্শেদ।