কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানের রেকর্ড

মা-বাবার জিম্মায় ১২৫ কিশোর অপরাধী

fec-image

১,৭০২ আসামি গ্রেফতার * ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৩২টি ইয়াবা উদ্ধার * ৭,২০৫ ব্যক্তিকে ৯৯৯ এর সেবা প্রদান * ১,৫৫০ জনকে নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের সেবা

ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক কারবারিসহ সব ধরণের অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ কঠোর। থানাকে ‘দালালমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। মামলা ও তদবির বাণিজ্য বন্ধ। থানায় গিয়ে আগের মতো ‘নেতাগিরি’ কিংবা ‘প্রভাব খাটানো’ যায় না। যার সেবা তাকেই দেওয়া হয়। হেল্প ডেস্ক অতীতের চেয়ে অনেক সক্রিয়। সব ধরণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে তেমন অভিযোগও শোনা যায় না।

থানার তথ্য মতে, গেল আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ২ বছরে বিভিন্ন মামলায় ১৭০২ জন আসামি গ্রেফতার এবং ৩,১৮,০৩২টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক এর সহায়তা পেয়েছে ১,৫৫০ জন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে ৭,২০৫ জনকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। ১২৫ জন কিশোর অপরাধী আটক করে পিতা-মাতার জিম্মায় দেয় পুলিশ।

ধর্ষণ মামলায় ৮৮, জিআর ওয়ারেন্টমূলে ১০১২, জিআর সাজা ওয়ারেন্টমূলে ৫৫, সিআর পরোয়ানার ৫৫৫ এবং সিআর সাজা পরোয়ানামূলে ৮০ জন আসামি গ্রেফতার করে পুলিশ।

এছাড়া অস্ত্রধারী ১১৩, চোর-ছিনতাইকারী ৪৮০, কিশোর অপরাধী ১১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অপহরণের শিকার ভিকটিম উদ্ধার হয়েছে ৯৫ জন।

বিগত দুই বছরে থানায় মাদকের মামলা হয়েছে ৮২টি। এসব মামলার এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা ১৬২। গ্রেফতার হয়েছে ১১৭ জন।

বিভিন্ন অভিযানে ৩,১৮,০৩২ ইয়াবা, ৩১০ গ্রাম ইয়াবার গুড়া, ১২২০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ, ৩ কেজি ৭০৫ গ্রাম গাঁজা, ২৫ বোতল ফেনসিডিল, ১টি গাজার গাছ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, রাষ্ট্র এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সর্বোচ্চ অন্তরিকতা সহকারে কাজ করে যাচ্ছি। ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংসহ সব ধরণের অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান। থানায় পুলিশি সেবা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তবু সফলতা-বিফলতা বিবেচনার ভার মানুষের হাতে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেক পোস্টে প্রদীপ (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনাটি পুরো বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। যে কারণে জেলায় ক্ষণিক সময়ে ইমেজ সংকটে পড়ে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুলিশকে ঢেলে সাজানো হয়। এসপি থেকে থানার কনস্টেবল পর্যন্ত সম্পূর্ণ নতুন সেটআপে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী চেইন অব কমান্ড।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন