মিজোরামে বিপুল অস্ত্রসহ তিন জেএসএস সন্ত্রাসী আটক

দক্ষিণ মিজোরামের লুংলেই জেলার বিশেষ শাখার পুলিশ কর্মকর্তারা বুধবার ভোরে বিপুল পরিমাণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও গোলাবারদসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএসের তিনি সদস্যকে আটক করেছেন, লুংলেই এসপি জেরোম লালমুয়ানকিমা জানিয়েছেন। ভারতের বিখ্যাত পত্রিকা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এর তথ্য জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লালমুয়াঙ্কিমা জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে দুটি একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, পাঁচটি মার্কিন তৈরি এম-৪ কার্বাইন, ২০টি ম্যাগাজিন, ৭.৬২ মিমি ৫০৪ রাউন্ড এবং ৫.৫৬ মিমি গুলি ৪,৬৭৫ রাউন্ড। এছাড়াও, তারা নগদ ৪৯,৫৫০ টাকা, পরিচয়পত্র, সিম কার্ড, এটিএম কার্ড এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। কর্মকর্তারা ভোর আড়াইটার দিকে লুংলেই বাজার এলাকায় আইজলের নিবন্ধনযুক্ত একটি গাড়ি আটক করেন, যেটি মিজোরামের সেরছিপ জেলার থেনজল শহর থেকে যাচ্ছিল। এসপি বলেন, আটক ব্যক্তিদের পুঙ্খানুপুঙ্খ জিজ্ঞাসাবাদের পর এই অস্ত্রের চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল নির্ধারণ করা হবে। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় যে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করেছেন তারা হলো- রনি চাকমা (৪৫), হাসপাতাল পাড়া, মনু, ধলাই, ত্রিপুরা থেকে; অনির্বাণ চাকমা (৩৪) আদুবাঙ্গাসোরা, লংটলাই জেলা, মিজোরাম থেকে; এবং রিবেং (24) টিপরাঘাট, লুংলেই জেলার। তাদের বিরুদ্ধে বাজেয়াপ্ত অস্ত্রের দখল ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।আটককৃতদের মধ্যে রনি চাকমার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি উপজেলার সাজেক থানা এলাকার বাসিন্দা। কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন যে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বাংলাদেশ-ভিত্তিক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর সাথে যোগাযোগ আছে অথবা তারা বাংলাদেশের বিদ্রোহী সংগঠন 'শান্তি বাহিনী'র সাথে সংশ্লিষ্ট। এসপি নিশ্চিত করেছেন যে, কর্তৃপক্ষ বুধবার লুংলেই থানায় ১৯৫৯ সালের অস্ত্র আইনের ২৫ (১এ)/ ২৫ (১) (ক) ধারার অধীনে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে, বর্তমানে বিভিন্ন সংযোগের তদন্ত চলছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে মিজোরামে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের ঘটনা বেড়েছে, যার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ এবং পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপসারণের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দায়ী।
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন