পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজার পেকুয়ার বিনোদন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিতদের প্রত্যাশা পূরণে মিনি শিশু পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খাঁন। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ উচ্ছ্বাস।
জানা যায়, দেশের পর্যটন নগরী হিসাবে পরিচিত কক্সবাজার জেলা। এ জেলায় দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও প্রকৃত অর্থে নেই কোন প্রত্যাশিত বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা। অথচ এ নিয়ে নেই কারো মাথা ব্যাথা। কিন্তু ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত গড়তে যাচ্ছেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খান। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে একের পর এক জনহিতকর কাজের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে ইতিমধ্যে তিনি লোকসমাজে কুড়িয়েছেন ব্যাপক প্রশংসা ও সন্তুষ্টি।
এর মধ্যে পেকুয়ার ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান গ্রাম্য সড়ক পার্শ্বে সোলার লাইট পোষ্ট স্থাপন, ভরাট খালের নাব্যতা পুনরূদ্ধারের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে হাজারো পরিবারের লোকজনদের পরিত্রাণের পাশাপাশি শতাধিক একরের ফসলি জমির আবাদ নিশ্চিত, পেকুয়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দ্দেশনায় কংক্রিট সড়ক নির্মাণ প্রক্রিয়া, পেকুয়া থানায় গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির চাহিদার প্রত্যাশা পূরণ, থানা প্রাঙ্গনে সোলার বাতির পোষ্ট স্থাপনসহ অর্ধশত বছর যাবত সংষ্কার বঞ্চিত অবহেলিত বারবাকিয়া-হারবাং সংযোগ সড়কের উন্নয়নের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এখন এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে আলোচিত বিষয়।
তারই ধারাবাহিকতায় তার কর্মস্থল এলাকায় বিনোদন সুবিধা বঞ্চিতদের প্রত্যাশা পূরণে এবার চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা পরিষদ অফিসার্স কোয়ার্টার প্রাঙ্গনে একটি মিনি শিশু পার্ক স্থাপনের কাজ। কোন ধরনের সরকারি বরা্দ্দ ছাড়াই এ মিনি শিশু পার্ক নির্মাণের কাজকে তিনি নিয়ে গেছেন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে মিনি শিশু পার্ক প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পেকুয়া উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম (বিডিআর) জানিয়েছেন, এমপি জাপা নেতা হাজি মুহাম্মদ ইলিয়াছ ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ ও পরামর্শে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পেকুয়ার ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খানের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার। কক্সবাজারের মডেল উপজেলার নাম পেকুয়া। আর সেই পেকুয়ায় বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে না তা হতে পারে না। তাই বিনোদন বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণ করতেই পেকুয়া অফিসার্স কোয়ার্টার প্রাঙ্গনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাদ্দ পরিশোধের প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করেই এ মিনি শিশু পার্ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।