মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক ৫৮ মাঝিমাল্লাসহ ৬ ট্রলার একদিন পর ছাড়া

fec-image

সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে উপকূল থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া আরো ৬ ফিশিং ট্রলার ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী।

বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে মাঝিমাল্লাসহ এসব ট্রলার মিয়ানমার নৌবাহিনী ছেড়ে দিলে কোস্ট গার্ডের টহল জাহাজ ট্রলারগুলো সন্ধ্যার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে নিয়ে আসে। ট্রলার সমূহে ৪৭ জন মাঝিমাল্লা ও জেলে রয়েছে।

এর আগে ধরে নিয়ে যাওয়া একটি ফিশিং ট্রলার ছেড়ে দিয়েছিল মিয়ানমার নৌবাহিনী। ট্রলারটি বৃহস্পতিবার দুপুরে ১১ জন মাঝিমাল্লা জেলেসহ শাহপরীর দ্বীপের জেটি ঘাটে এসে পৌঁছে। এর মধ্যে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে নিহত এক জেলের মরদেহ এবং গুলিবিদ্ধ দুই জন জেলে রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার বিকেলে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের দক্ষিণ পূর্বে সাগরে বাংলাদেশী জলসীমায় মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশী ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জেলের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন আহত হয়েছে।
পৃথকভাবে মিয়ানমার থেকে ৬টি ট্রলার বোটের সবগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নিহত ব্যাক্তি সহ মোট ৫৮ জন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং এমুহূর্তে সবাই শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে অবতরণ করছে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জেলে মো. ওসমান গনি শাহপরীরদ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীরদ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ২ জেলেও ওই ট্রলারের।

ধরে নিয়ে যাওয়া অপর ৫টি ট্রলার সমুহের মালিক হলেন, শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমানের ২টি, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তাঁর ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর আড়াই টায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমার মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি করে এবং ৬টি বোট জেলেসহ আটক করে নিয়ে যায়। গুলির ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছেন এবং দুজন আহত হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জেলেদের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানান। পরে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিকট ১টি ট্রলার সহ জেলেদের হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার আড়াইটার দিকে নিহত জেলের মরদেহ ও ১১ জন জেলে নিয়ে একটি ট্রলার শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে ফিরেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন