মিয়ানমারে অভিনব কায়দায় ধর্মঘট

fec-image

মিয়ানমারে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৫শ’ ছাড়ানোর পর এবার অভিনব কায়দায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন অ্যাক্টিভিস্টরা। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ‘আবর্জনা ধর্মঘট’ নামের ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইয়াঙ্গুনের সড়কগুলোতে আবর্জনা ছড়িয়ে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা সু চির মুক্তির পাশাপাশি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। এসব বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে।

এমন অবস্থায় চলমান অসহযোগ আন্দোলন আরও জোরালো করতে নতুন কৌশল বেছে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সোমবার লাউড স্পিকারে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়দেরকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে আবর্জনা ফেলার আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় স্তরে স্তরে আবর্জনা জমা করা হচ্ছে। একটি পোস্টারে লেখা আছে, ‘জান্তার বিরোধিতা করতেই এ আবর্জনা ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সবাই এতে সামিল হতে পারেন।’

এর আগে সোমবার (২৯ মার্চ) বালুর বস্তা দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে সেনাবিরোধী বিক্ষোভ চলার সময় বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে গুলি ছোড়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন অন্যান্য দিনের চেয়ে আরও ভারি অস্ত্র ব্যবহার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এটি কী ধরনের অস্ত্র ছিল তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি এক ধরনের গ্রেনেড লঞ্চার ছিল।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্র্রতিবেদনে বিক্ষোভকারীদেরকে ‘সহিংস সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ‘দাঙ্গাবিরোধী অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

মঙ্গলবার সাউথ দাগন এলাকার এক বাসিন্দা রয়টার্স-এর কাছে অভিযোগ করেন, নিরাপত্তাবাহিনী সোমবার রাতভর ওই এলাকায় ধরপাকড় চালিয়েছে। সারারাত গোলাগুলি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তিনি।

ওই বাসিন্দা আরও জানান, সাউথ দাগন এলাকার মানুষ মঙ্গলবার সকালে রাস্তা থেকে মারাত্মক রকমের দগ্ধ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ওই মানুষটির শরীর কিভাবে পুড়ে গেছে তা জানা যায়নি। সেনা সদসরা লাশটি সরিয়ে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে মিয়ানমার পুলিশ ও জান্তা মুখপাত্রকে ফোন করে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সূত্র: Bangla Tribune

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অভিনব, কায়দায়, ধর্মঘট
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন