parbattanews

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল ফের পড়ল বাংলাদেশ সীমান্তে

বান্দরবান নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুমের রেজু আমতলী পয়েন্টে ফের হেলিকপ্টার থেকে গোলা বর্ষণ করেছে মিয়ানমার। আর নতুন রূপে ড্রোন ব্যবহার করছে তারা।

একাধিক সূত্র পার্বত্যনিউজের এই প্রতিবেদককে বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী আরাকান আর্মির ঘাঁটি ধ্বংস করার অজুহাতে এসব অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সীমানা কাছাকাছি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের জনশূন্য জায়গায় ১টি অবিস্ফোরিত মর্টার শেলের গোলা এসে পড়ে। এর ১ ঘণ্টা পর আরো দুটি মর্টার শেল পড়ে।

নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রেজু আমতলীর মাঝামাঝি এলাকায় মর্টার শেল পড়ে বলে নিশ্চিত করেন একাধিক সূত্র।

অপর আরেকটি মাধ‍্যমে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে মিয়ামারের সীমান্তের ভিতরে ওই দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে তারা স্থল ও আকাশ যান ব্যবহার করছে। কিন্তু বারে বারে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার, মর্টার শেল আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে এসে পড়ছে যা ভাবিয়ে তুলেছে সীমান্ত জনপদে বসবাসরত শত শত মানুষকে।

ঘুমধুম ইউপি মেম্বার আবুল কালাম জানান, সারাদিন গোলাগুলির শব্দে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলার এলাকায় বসবাসরতদের মাঝে আতঙ্ক বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। এছাড়া এ সীমান্ত এলাকায় কয়েক দফা হেলিকপ্টার করে গোলাবষর্ণ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেড বিমান, ড্রোনের আদলেও বিমান উড়তে দেখেছেন এলাকার মানুষ বলেও তিনি দাবি করেন।

তিনি আরো জানান, মিয়ানমারের তুমরু সীমান্ত রক্ষীর ঘাঁটি থেকে বৃহস্পতিবার কয়েক দফা মর্টার শেল এসে পড়ে ৭ কিলোমিটার দূরের বাইশফাঁড়ি- আমতলী সীমান্ত পয়েন্টে। ফলে মানুষের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে।

এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, ‌‌‌রেজু আমতলী ফাত্রাঝিরি বাইশফাঁড়ি সীমান্তে নতুন আঙ্গিকে গোলাগুলির আওয়াজ শুনেছেন তার এলাকার মানুষ।

তিনি নিশ্চিত করেছেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন ৩৯ নম্বর ও ৪০ নম্বর পিলার এলাকাসহ ঘুমধুম সীমান্তের সর্বত্র মিয়ানমার বাহিনী সীমান্ত ঘেঁষা আরকান বাহিনীর উপর হামলা চালায়। তবে তিনি হতাহতের কোন সংবাদ জানাতে পারেনি। মিয়ানমারের ছোড়া অনেক গোলা বাংলাদেশ সীমানা কাছাকাছি বা তারও বেশি ভিতরে পড়েছে।

Exit mobile version