মিয়ানমার সীমান্তে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ, এলাকায় আতঙ্ক
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দুইটি হেলিকপ্টারকে প্রায় ৩০ মিনিট মহড়া দিতে করতে দেখা গেছে। একইসাথে ব্যাপক গুলি বর্ষণের শব্দ পাওয়া গেছে। এতে সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার ৩৪, ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছাকাছি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দুইটি হেলিকপ্টার দেখা যায় বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয়রা।
তুমব্রুর ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছৈয়দুর রহমান হিরার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার (২৮ জানুয়ারি) দেড়টার দিকে মিয়ানমারের সামান্য ভিতরে সে দেশের দুইটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার এসে মহড়া দিতে থাকলে ঠিক সেই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের বিদ্রোহীদের উপর হামলা করার জন্য ওই হেলিকপ্টারের মহড়া দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি হেলিকপ্টার আসার ফলে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে থাকা মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ামারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। আর এ যুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক। যার ফলে বিকট শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকায় কম্পন সৃষ্টি হয়।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তের ৩৫ পিলারের ওপারে মর্টারশেলের বিকট শব্দ শুনা যাচ্ছিলো। ফলে তুমব্রু কোনার পাড়ার লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।
এদিকে, সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বিওপি এলাকা পরিদর্শন করেন।