parbattanews

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে পালিয়েছে গ্রামবাসী, ২ হাজার বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ

আরাকান মিনব্যা শহরতলীর রামং ব্রিজ নিকটে মাংরোওয়া, ম্রাইনারোওয়া ও থংশে গ্রামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর টহল দল এসে ধরপাকড়, নির্যাতন, নিপীড়নে বসতবাড়ি ছেড়ে দু’হাজার গ্রামবাসী পালিয়েছে বলে জানা গেছে।

থংশে গ্রামের উচিংসা বলেন, ৫ মে দুপুর ২টার দিকে রামং ব্রিজ নিকটে ফাব্যো এলাকা থেকে আসা মিয়ানমার সেনাবাহিনী দলেদলে বিভক্ত হয়ে ধাপেধাপে গ্রামগুলোতে প্রবেশ করে। মিয়ানমার সেনারা প্রথমে মাংরোওয়া গ্রামে গুলি চালাতে চালাতে এবং পর্যায়ক্রমে ম্রাইনারোওয়া ও থংশে গ্রামের ভিতর ঢুকে এবং সাথেসাথেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মিয়ানমার সেনারা গ্রামের লোকজনকে ধরপাকড়, অত্যাচার-নির্যাতন চালালে গ্রামবাসীরা দিকবেদিকে পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান।

মাংরোয়া গ্রামের উক্যগ্রী বলেন, উক্ত তিনটি গ্রাম পাশাপাশি লাগানো। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে বসতবাড়ি ছেড়ে প্রাণ ভয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে পালিয়ে গেছে। মিয়ানমার সেনারা গ্রামগুলোর বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার আশঙ্কা করার সাথে সাথে দূর থেকে গ্রামে আগুন জ্বলতে দেখেছেন। তিনি আরো বলেন, গ্রামের লোকজন নিকটস্থ নারেন্, ঝিবাংগ্রী গ্রাম ও মিনব্যা শহরে পালিয়ে গেছে বলে জানান।

মিনব্যা শহরতলীর সাংসদ উচাইনাইন-কে যোগাযোগ করে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৭০জনের টহল দল বিভক্ত হয়ে মাংরোওয়া, ম্রাইনারোওয়া ও থংশে গ্রামের ভিতর গুলি চালিয়ে প্রবেশ করে এবং তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে হাজার-হাজার সাধারণ গ্রামবাসী বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও বলেন, সেনা অভিযানের নামে গ্রামে মর্টার শেল হামলা, সাধারণ গ্রামবাসীদের গুলি চালানো, গ্রামের ভিতর অবস্থান করে যুদ্ধ পরিচালনা করা, সাধারণ গ্রামবাসীদের ধরপাকড়, অত্যাচার-নির্যাতন চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়। গত এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মিনব্যা শহরতলীর ম্রাইনারোওয়া ও থংশে গ্রামে মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে, একজন নিহত ও ৮জন আহত হন।

Exit mobile version