parbattanews

মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে অপহৃত ৬ রোহিঙ্গা: আটক ১

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত ৬ রোহিঙ্গা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা চাকমারকুল পাহাড়ি এলাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ২১ ও ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সংশ্লিষ্ট এপিবিএন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেন,” অপহৃত ৬ জন রোহিঙ্গা ফিরে এসেছে।”

অপহরণের এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় চাকমারকুলের স্থানীয় বাসিন্দা মো. বিল্লাল নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে কাজের সন্ধানে বের হলে একদল ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসী’ তাদের ধরে নিয়ে যায়। এরপর পরিবারের কাছে জনপ্রতি ৫০ হাজার করে মোট ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এ বিষয়ে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ছয় জন রোহিঙ্গাকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা কয়েকটি জায়গায় তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাই। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। ফেরত আাসা অপহৃতদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ছয় জনের কাছ থেকে তিন লাখ মুক্তিপণ আদায় করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে এ ঘটনায় স্থানীয় ওই অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত বাকিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসা রোহিঙ্গারা হলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন (৩৩), মো. ইদ্রিস (২০), মো. ফরোয়াজ (৩৯), মো. জোহার (৩১), মোহাম্মদ নূর (৩৪) ও নুরুল হক (৩১)।

এ বিষয়ে টেকনাফের ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল পাশা বলেন, অপহৃত ৬ রোহিঙ্গা ছাড়া পেয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় ক্ষেত পাহারারত ৪ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। তারা ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন।

Exit mobile version