বিশ্ব ভালবাসা দিবসের সাথে যুক্ত রয়েছে শুক্রবার ছুটির দিন। সবমিলে এখন পর্যটকের ঢল কক্সবাজারে। তারমধ্যে বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে পশাল ফুলে ছেয়ে যাওয়া মেরিন ড্রাইভ সড়ক। গাছে ফুলের সৌন্দর্য বর্ধনের সাথে মাটিতে ঝরে পড়া পলাশ তৈরি করেছে এক রঙিন চাদর। এই দৃশ্য যেন ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে মেরিন ড্রাইভে’র পশাল ফুলের হাতছানি। এছাড়া বিশাল সমুদ্রের ঢেউ’য়ে গোসল আর পর্যটন স্পটে ভ্রমণ করে দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে ভালবাসা দিবসে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে বাড়তি আনন্দের। তারা বলছেন ভালবাসা যেন শুধু আজকের দিনে সীমাবদ্ধ না থাকে। বেঁচে থাকুক সারাজীবন। বেড়াতে আসা পর্যটক সাইফুল ইসলাম রাব্বী জানান, নতুন বউকে নিয়ে ভালবাসা দিবস উদযাপনে এসেছেন। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি অসাধারণ লেগেছে মেরিন ড্রাইভ সড়কে পলাশ ফুলের দৃশ্য। এ যেন ভালোবাসি দিবসে স্বাগত জানানো হচ্ছে। এই অপরূপ সৌন্দর্য সামনে রেখে প্রিয় মানুষকে ভালবাসা প্রকাশের আনন্দ অন্যরকম। রুবিনা ইয়াছমিন নামে আরেক পর্যটক জানান, ভালবাসা শুধু দিবস অনুযায়ী উদ্যাপনের বিষয় নয়। এই ভালবাসা যেন সারা জীবনের জন্য থাকে। ভালবাসা স্বামী বা প্রিয় মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই ভালবাসা মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া- প্রতিবেশী, সহপাটি-সহকর্মীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য।মেরিন ড্রাইভ সড়কের ইকো রিসোর্ট ‘মুন নেস্ট’ এর মালিক মোহাম্মদ জহিরুল হক চৌধুরী জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে পর্যটকদের জন্য ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, রুমে কাঁচা ফুলের ডেকোরেশন সহ নানা আয়োকজন করা হয়েছে। রয়েছে ফ্রেশ ফুল-ফলের স্বাগতম। রয়েছে ইট-কংক্রিটের যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে প্রকৃতির নির্যাস উপহার দেওয়া। বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান জানান, একদিকে বিশ^ ভালবাসা দিবস অন্যদিকে ছুটির দিন। সবমিলে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম। বিশ^ ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে হোটেল-মোটেল-রেস্তোরায় ঢেলে সাজানো হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দায়িত্বরত টুরিস্ট পুলিশের এসআই সুব্রত জানান, ভালবাসা দিবস উপলক্ষে পর্যটকের চাপ রয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল জোরদার রেখেছে। পর্যটকদের সাথে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। সকলের প্রত্যাশা পর্যটকরা যেন নিরাপদ ভ্রমণ শেষে বাড়িফিরতে পারে।