মেরিন ড্রাইভে ছাদখোলা বাস : পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনা


কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে চালু হলো বিআরটিসির দ্বিতল ছাদখোলা বাস। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে নির্মিত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের যাত্রাপথে সমুদ্র ও পাহাড়ের অপরূপ মেলবন্ধনে মুগ্ধ যাত্রীরা। ভ্রমণরত পর্যটকরা এ ট্যুরিস্ট বাসে চড়ে কক্সবাজার শহর থেকে যেতে পারছেন সীমান্তবর্তী টেকনাফের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত। ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় ঘুরতে পারছেন ৬টি পর্যটন স্পট।
বুধবার সকাল ৯ টায় কক্সবাজার শহরের লাবনী মোড় থেকে প্রথম যাত্রা করে বিআরটিসির একটি দ্বিতল ছাদখোলা বাস। যাত্রাপথে বাসের ছাদে বসে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে পাহাড়-সমুদ্রের বুক চিরে এগিয়ে চলায় দারুণ মুগ্ধ যাত্রীরা।
দ্বিতল বাসের ছাদখোলা অংশের চেয়ারে জনপ্রতি ভাড়া ৭০০ টাকা। আর নিচতলার চেয়ারে জনপ্রতি ভাড়া ৬০০ টাকা। যাত্রাপথে ছয়টি পর্যটন স্পটে বাস থামবে ২০ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য। প্রায় ৯ ঘণ্টার ভ্রমণ পথের বিরতিতে পাটুয়ারটেক দুপুরের খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে বাড়তি গুনতে হবে দুইশো টাকা। বিকেলের যাত্রাবিরতিতে পর্যটকরা সৈকতের দরিয়ানগরে সূর্যাস্তের সৌন্দর্য উপভোগ করারর সুযোগ পাবেন।
দ্বিতল বিশিষ্ট ছাদখোলা বাস উদ্বোধনের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, ট্যুরিস্ট বাসগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে জেলা প্রশাসন। এসব বাস কক্সবাজারের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াবে।

















