parbattanews

মেশিন চলে রাতে, বিল করেছে দিনের

কুতুবদিয়ায় জেনারেটর চলে রাতে, বিল হয়েছে দিনের। গোঁজা মিলের ভুতুড়ে বিল দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে। এতে সব গ্রাহকই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জেনারেটরে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি দেশের অন্যান্য জায়গার মতো দ্বীপ কুতুবদিয়ায় লকডাউন করেন প্রশাসন। ফলে ফার্মেনি ছাড়া বিকাল ৪টার পর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও করোনার দরুণ মিটার না দেখেই বিল করারও নির্দেশনা ছিল বলে জানা যায়।

উপজেলা সদরে অন্তত সাড়ে সাত ‘শ গ্রাহকের বিশেষ করে বাণিজ্যিক বিল করা হয় আন্দাজে। করোনার আগে দোকান পাট খোলা থাকার সময় যেমন বিল ছিল, তেমনিই বিল করা হয়েছে। বরং কোথাও দ্বিগুণ হয়েছে। একদিনও মিটার চলেনি এমন দোকানেও একই বিল হয়েছে। আবার বিল পরিশোধ করা সত্বেও ৮/৯ বছর আগের বকেয়া বিল ধরে টাকার অংক আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

গ্রাহকরা বলেন, ৩ মাস ধরে করোনায় দোকান বন্ধ। মেশিন চলে রাতে, ৪টা থেকে বন্ধ থাকা দোকানে বিদ্যুৎ ব্যবহার না হলেও আকাশচুম্বি বিল হয় কিভাবে। এ নিয়ে প্রতিদিনই বিদ্যুৎ অফিসে ভুক্তভোগীদের ভিড় লেগেই আছে।

আবাসিক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত বলেন, করোনার প্রভাবে নিয়মিত মিটার দেখে রিডিং নেয়া সম্ভব হবেনা বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে-বিগত ৩ মাসের গড় বিল হিসেবে রিডিং নেয়ার। মূলভ’খণ্ডে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে। তাই গড় বিল থেকে পারে। দ্বীপে বিদ্যুৎ নেই। জেনারেটরে শুধু রাতে বিদ্যুৎ দেয়া হয়। করোনায় রাতে দোকান বন্ধ। ওই নির্দেশনা কিভাবে কার্যকর হবে এখানে। এমন প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি। আদৌ কি মন্ত্রণালয় জানে। কুতুবদিয়ায় শুধু রাতের বেলায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়। জানলে এমন আজগুবি নির্দেশনা কিভাবে দেয়া হলো। এটি কি কুতুবদিয়ায় প্রযোজ্য।

Exit mobile version