মেসি-নেইমারহীন পিএসজি লসের কাছে টিকতেই পারলো না


লিওনেল মেসি পিএসজির কাছ থেকে বিশ্বকাপ উদযাপন করতে বাড়তি ছুটি নিয়েছিলেন । ফলে স্ত্রাসবুর্গের পর গতকাল লসের বিপক্ষেও তাকে পায়নি পিএসজি। অন্যদিকে গত ম্যাচে ডাইভ কাণ্ডে লাল কার্ড দেখায় নেইমারও একাদশের বাইরে ছিলেন ।
দলের বড় এই তারকাকে ছাড়া খেলতে নামা পিএসজি একরকম অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে লসের বিপক্ষে। লিগ টেবিলে দুই নম্বরে থাকা দলটির কাছে ৩-১ এর ব্যবধানে হারে ক্রিস্তেফ গলতিয়ের দল। লসের এই জয়ের জমে উঠেছে ফরাসি লিগ। শীর্ষ এই দুই দলের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান এখন মাত্র ৪।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে অভিনব উপায়ে পেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় দুই দল। ফুটবল গ্রেটের স্মরণে এক মিনিট ধরে হাততালি দিয়ে শুরু হয় মাঠের লড়াই। শুরু থেকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠেছিল ম্যাচ।
দুই দলই খেলার প্রথম ১০ মিনিটেই জালের দেখা পেয়ে যায় । খেলার ৫ম মিনিটে পোলিশ মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কোভস্কির গোলে লিড নেয় লস। তবে ম্যচে ফিরতে ‘লে পারিজিয়াঁরা সময় নেয় মাত্র দুই মিনিট। নর্দি মুকিয়েলের ডি বক্সে বাড়ানো বলে লক্ষ্যভেদ করেন একিতি। তবে গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বার বল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর একিতি শট নেন দাবি করে প্রতিবাদ জানায় লস। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলের বাঁশিই বাজান রেফারি।
১৬ তম মিনিটে এমাবাপের জোরালো শট ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকান লস গোলরক্ষক। ২৮ তম মিনিটে দারুণ এক গোলে লসকে ফের এগিয়ে দলের বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড ওপেন্দা।
গলতিয়ের দল ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বিরতির আগে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে। তবে সেটি হয়নি, উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্কোর লাইন ৩-১ করে ফেলে লঁস পিসজিকে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে দেয়। দানিলো পেরেইরার দিশাহীন পাসে ডি বক্সের সামনে বল হারান মার্কো ভেরাত্তি। দুই জনের পা ঘুরে পেয়ে যান ক্লদ-মরিস। ঝাঁপিয়ে পড়েও তার জোরাল শটের নাগাল পাননি পিএসজি গোলরক্ষক।
৫৪তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির দূর পাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন লঁস গোলরক্ষক সাম্বা। সাত মিনিট পর এমবাপের শটও সাম্বা ঠেকিয়ে দিয়ে হতাশা বাড়ান পিএসজি শিবিরে।বাকি সময়ে চাপ ধরে রাখলেও গোলের নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পিএসজি।
পিএসজি মৌসুমে প্রথম হারের পরও শীর্ষেই আছে। ১৭ ম্যাাচে তাদের পয়েন্ট ৪৪। সমান ম্যাচে ১২ জয় ও চার ড্রয়ে লঁসের পয়েন্ট ৪০।