parbattanews

মেয়র মকছুদ মিয়াসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা

মহেশখালী পৌর মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মকসুদ মিয়াসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতে মহেশখালী থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি আবদুল হাই। তিনি জানান, মামলাটি তদন্ত করবে ডিবি পুলিশ।

রবিবার (২৪ অক্টোবর) মহেশখালীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন চিংড়ি ঘের মালিক আমজাদ হোসেন। যার দায়েরকৃত সিআর মামলা নং- ১৪৪/২১। যার স্মারক নং- ৫৫৮/২১।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ‘১৪ লক্ষ টাকার ঘোনা’ নামক চিংড়ি ঘেরে গত ১৯ অক্টোবর রাত ৯টায় মেয়র মকছুদ মিয়ার হুকুমে তার ৩০ জন সহযোগী দলবদ্ধ হয়ে হানা দেয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছ, লবণ ও মূল্যবান মালামাল লুট করে। চিংড়ি ঘেরের পরিচালক ও কর্মচারীদের মারধর করে।

এ ঘটনায় চিংড়ি ঘেরের অংশীদার ও পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মহেশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বাদী পক্ষের এডভোকেট হামিদুল হক জানান, আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন বাদীর আবেদন শুনে মহেশখালী থানার ওসিকে মামলা গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

মামলার আর্জিতে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন উল্লেখ করেন, ১৯ অক্টোবর রাত ৯টায় মেয়র মকছুদ মিয়ার নির্দেশে মিরাজ উদ্দিন নিশান (২২), মঈন উদ্দিন (৩০), শামশু উদ্দিন (২৮) আতা উল্লাহ বুখারী (৪৫)মোহাম্মদ মামুন (৪২),জাহাঙ্গীর (৪৫),হাসান মোরশেদ (২৫),বদি আলম (৩৫)মোহাম্মদ খোকন (২৫), মোহাম্মদ শান্ত (২৬)জসিম উদ্দিন (২৪)জাহাঙ্গীর আলম ২৮)অহিদুল্লাহ (২৪) নাছির উদ্দিন (৪৫),জিয়াউর রহমান (২৮), ফরিদ আলম প্রকাশ কালা ফরিদ (২৭),একরাম মিয়া (২৯),আলা উদ্দিন (৩৫), আজিজুল হক (৩০) আজিজুল হক (৩৫) সাইফুল হক (২৮), মজিবুর হক (২৬),রিফাত উদ্দিন ফুতাইয়া (২৯), তোফাইল উদ্দিন (২৪),আনোয়ার হোসেন (৩০),মোক্তার আহমদ (৩৫), আবছার (৩৫), লেদু (৩৫), মাহবুবুর রহমান (৩৫), গিট্যা মাহবুব (২৮) আরো ১০/১৫ জন সংঙ্গবদ্ধ আরো সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করতে করতে ত্রাশ সৃষ্টির মাধ্যমে চিংড়ি ঘেরে নিয়োজিত শ্রমিক নজরুল ইসলাম ও মো. ফয়সাল চিংড়ি ঘেরের খামার বাড়ীতে পাহারায় অবস্থায় থাকাকালীন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তার ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে ব্যপক তান্ডব চালায়। চিংড়ি ঘের দখল উচ্ছেদ করতে পূর্ব থেকে আহরণকৃত মাছ জাল মালামাল লুটপাট ও ডাকাতি করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা এসময় চিংড়ি ঘেরের কর্মচারীদের কুপিয়ে ও গুলিতে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাদী আরো উল্লেখ করেন, চিংড়ি ঘের থেকে ১৫ মন চিংড়ী মাছ ও মাছ ধরার জাল অন্যান্য দেড় লক্ষ টাকার মালামাল লুট করেছে।

আমজাদ হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে চিংড়িঘের লুটকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় এজাহার জমা দেন। থানা কর্তৃপক্ষের কোন ধরণের সহযোগিতা না পাওয়ায় পরবর্তীতে তিনি আদালতের শরনাপন্ন হয়।

Exit mobile version