parbattanews

মে দিবসে ছুটি নেই আড়াই হাজার রাবার শ্রমিকের!

নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান:

আজ আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস। শ্রমের সময় নির্ধারণ, মজুরি বৃদ্ধি, কাজের উন্নত পরিবেশের দাবিতে এই দিবসটির সূচনা হয়েছিল। কিন্তু অন্য সব দিনের মতো আজকের দিনেও বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়িতে আড়াই হাজার শ্রমিক কাক ডাকা ভোরে প্রতদিনের মতো কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে।

এ উপজেলার রাবার শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত বাইশারী ইউনিয়নেই রয়েছে প্রায় ১শ’ ৫০ রাবার বাগানের অন্তত দেড় হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়াও সীমান্তের ঘুমঘুম ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নে রয়েছে ১ হাজার শ্রমিক। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় আড়াই হাজার রাবার শ্রমিক মে দিবসের কোন ছুটি ভোগ করবেন না। এই দিনটিতে শ্রমিকের কর্মবিরতি থাকলেও জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হবে তাদের।

একাধিক শ্রমিক মে দিবসে ছুটি দেওয়া হয় বলে শুনেছেন। তবে বুধবার (পহেলা মে) বাইশারীর কোন রাবার বাগানে ছুটি দেওয়া হয়নি। তাই জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনের মতো আজও এখানকার দেড় হাজার শ্রমিক কে কাজে যেতে হবে। আবার অনেকে বলেছেন পেটের জন্য কাজ না করার কোন সুযোগ নেই।

ঈদগড় বাজার সমিতির মালিকানাধীন রাবার বাগানের ম্যানেজার ও শ্রমিক নেতা জালাল আহমদ জানান, মে দিবসে কোন শ্রমিকের ছুটি নেই। প্রতিদিনের মতো টেপাররা ভোর ৫টায় কাজে বের হয়ে ফিরবেন বেলা ১১টায়। আর স্টাফরা ভোর ৫টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাবার বাগানে কাজে থাকবেন।

শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলী জানান, বাইশারীতে শ্রমিক আন্দোলনের পর থেকে মে দিবসের জন্য কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না। প্রস্তুতি নিলেও অনুমতি পাওয়া যায় না। যার কারণে অনেকে মে দিবসের বিষয়বস্তু জানে না। তবে পহেলা মে রাবার বাগানের কোন শ্রমিকরে ছুটি নেই বলে জানান তিনি।

এদিকে বাইশারীস্থ বৃহত্তর পিএইচপি রাবার বাগানের জিএমপি আমিনুল ইসলাম আবুল জানান, ছুটির দিনে ছুটি থাকবেই। তবে অনেক শ্রমিক ছুটি কাটান না ওভার টাইম করে বেতন নেন।

বাইশারীস্থ নাজমা খাতুন রাবার বাগানের ম্যানেজার আল আমিন জানান, বুধবার (পহেলা মে) তাদের বাগান যথারীতি চালু থাকবে। শ্রমিকরা এই ছুটি না কাটিয়ে কাজ করে বেতন নেন।

এই প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, মালিক পক্ষ থেকে এই দিনটিতে শ্রমিকদের জন্য ছুটি নির্ধারণ রাখা উচিৎ। বিষয়টি রাবার বাগান মালিকদের জানানো হবে।

Exit mobile version