ম্যাজিস্ট্রেট ফিরে যেতেই ফুটে ওঠে আগের চিত্র

fec-image

করোনা প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসনের প্রচার-প্রচারণা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে যেন সচেতনতা নেই। অভিযানের কথা শুনলে শুনলেই মাস্ক পরাসহ অন্য বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠলেও ম্যাজিস্ট্রেট ফিরে যেতেই আগের চিত্র।

সোমবার (১২ জুলাই) পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন শান্তিপুর গরুর হাট ও আশেপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

সোমবার ভোর থেকেই শান্তিপুর বাজারে ব্যাপক সমাগম ঘটে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের। কেউ কোরবানী পশু বিক্রি করতে আবার কেউ কেউ পছন্দের কোরবানীর পশু কিনতে জড়ো হয় শান্তিপুর বাজারের কোরবানীর পশুর হাটে। কিন্তু সেখানে মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি।

মাটিরাঙ্গায় প্রশাসনের নানামুখী চেষ্টার পরেও জনগন সরকারী বিধিনিষেধ মানছেনা মন্তব্য করে সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসন-জনগন লুকোচুরি খেলা বন্ধ করা না গেলে করোনা প্রতিরোধ বা করোনা থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখা তো দূরের কথা মাটিরাঙ্গার মানুষকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

শান্তিপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজ ফারজানা আক্তার ববি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও প্রশাসনের লোকজন ফিরে যেতেই ফুটে ওঠে আগের চিত্র। এছাড়াও গরুর হাটে দেখা গিয়েছে অনেক মানুষের সমাগম। এমনকি সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে খোলা হচ্ছে প্রায় সব ধরনের দোকান-পাট।

লকডাউন বাস্তবায়নে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। একটি গরুর সাথে একজন বিক্রেতা ও ক্রেতা ব্যতিত অন্য কাউকে হাটে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন