ম্যানসিটির লজ্জার হারে লিভারপুলের শীর্ষস্থান দখল
লজ্জায় ডুবল ম্যানচেস্টার সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বোর্নমাউথের কাছে হোঁচট খেয়েছে পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। যে দলটার বিপক্ষে আগে কখনো পয়েন্ট খোয়ানোরও ইতিহাস নেই, তাদের কাছেই কিনা এবার হেরে বসল সিটি।
শনিবার ঘরের মাঠ ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ে বোর্নমাউথ। চারবারের লিগ চ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলে হারায় তারা। অথচ এর আগে দুই দলের লড়াই ছিল একপক্ষীয় দ্বৈরথ৷ যেখানে সিটির কাছে পাত্তাই পায়নি স্বাগতিক দলটা।
এর আগে দুই দলের সর্বশেষ ১৪ ম্যাচের সব কটিতেই জয়ী দলের নাম ছিল সিটি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির বিপক্ষে টানা ২১ ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি বোর্নমাউথ। তবে সব হিসাবই যেন আজ পাল্টে দিয়েছে দলটা।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে বোর্নমাউথ। তারই ধারাবাহিকতায় খেলার ৯ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন অ্যান্টোইন সেমেনিও। কেরকেজের পাস থেকে দারুণ এক গোল করেন সেমেনিও।
তবে সিটির তখনো দুশ্চিন্তার কারণ ছিল না। সর্বশেষ চার ম্যাচের তিনটিসহ লিগে ১১ ম্যাচেই প্রথম গোল হজম করে পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে পয়েন্ট অর্জন করে নিয়েছে সিটি। কিন্তু এবার আর তা হয়নি।
ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে বোর্নমাউথকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইভানিলসন। কেরেকেজের ক্রসে বল জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। তাতে ২০২৩ সালের জানুয়ারির টটেনহাম ম্যাচের পর এই প্রথম কোনো দলের বিপক্ষে ০-২ গোলে পেছায় সিটি।
চার মিনিট পর ৩-০ হয়ে যেতে পারত স্কোর লাইন। মার্কাস টেভারনিয়ারের গতিময় শট ফেরে পোস্টে লেগে। না হয় তখনই অনেকটা হার নিশ্চিত হয়ে যেত সিটির।৷ এর মাঝে ৭৯তম মিনিটে হলান্ডের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক।
লক্ষ্যে এটাই সফরকারীদের প্রথম শট। তবে ৮২ মিনিটে ইয়োস্কো গাভার্দিওলের গোলে প্রথম জালের দেখা পায় সিটি। ইলকাই গিনদোয়ানের ক্রসে অনেকটা লাফিয়ে জোরাল হেডে গোল করেন গাভার্দিওল।
তাতে ব্যবধান কমে এলেও শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে সমতা আনতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যদুএ শেষ দিকে বোর্নমাউথেও ডেরায় রীতিমতো কাঁপন ধরিয়েছিল বের্নার্দো, ফোডেনরা। তবে স্বাগতিক গোলরক্ষক বারবার হতাশ করেন তাদের।
এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ব্রাইটনকে হারিয়েছে লিভারপুল। নিজেদের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে সফরকারীদের ২-১ গোলে হারিয়েছে অলরেডরা। তাতে ম্যানসিটিকে টপকে লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট অলরেডদের। আর টানা দুই ম্যাচে হোঁচট খাওয়া ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ১০ ম্যাচে ২৩।