পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মাটিরাঙ্গা-তানাক্কাপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির অভ্যন্তরিন মনোমুগ্ধকর নান্দনিক পরিবেশ প্রশংসার দাবিদার।
সরেজমিনে ৬ সেপ্টেম্বর পরিলক্ষীত হয়, দ্যিালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সার্বিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা, বিদ্যালেয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছনতা, শিশুবান্ধব শিক্ষকতা, শিক্ষক -অভিভাবকের সমন্বয়, সুশৃঙ্খল নিয়মানুবর্তিতা , সুদূর প্রসারি পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা উদ্যোগ , নিজস্ব ও বার্ষিক থোক /স্লিপ বরাদ্দের উদ্ধৃত ও সঞ্চিত অর্থায়নে শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তার আশপাশে সৃজিত হয়েছে এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ । বিদ্যালয় ও মাঠের চারপাশের সাড়িবদ্ধ ছোট ছোট ভিনদেশি (থাই-১, থাই-২) জাতের নারিকেল গাছের দৃশ্য নজর কাড়ার মত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম বলেন, পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা ও বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে গাছের কোন বিকল্প নাই। সে লক্ষে আমি ও অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সাইফুল ইসলাম ১০ হাজার করে টাকা দিয়ে ফান্ড সৃষ্টি করি। পরে উভয় পরামর্শ ক্রমে তিনজন কৃষি উপসহকারীর (ব্লক সুপার ভাই জার) তত্বাবধানে ২০১৯ সালে ৪২টি থাই জাতের নারিকেল গাছের ছাড়া লাগানে হয়। সরবরাহ, রোপণ, আধুনিক বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতিতে সার প্রদান ও কিটনাশক প্রয়োগসহ প্রাথমিক পরিচর্যায় মোট খরচ হয় ৪৭,৫০০/-(সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত টাকা)। স্কুল পরিচালনা পরিষদের সাথে পরামর্শক্রমে বার্ষিক থোক/স্লিপ বরাদ্দের উদ্ধৃত সঞ্চিত টাকা থেকে এ টাকা ব্যায় করা হয় ।
এছাড়া কমলালেবু, কলা বাগান ছাড়াও সেগুন কাঠের বাগান করা হয়েছে। নারিকেল, কমলালেবু ও কলা বাগান ছাড়া সৃজিত পরিকল্পিত সেগুন বাগানের গাছের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।
জনাব রবিউল আরো বলেন, সব দিক থেকে সুখী হলেও শিক্ষার্থীরকে পাঠদানে আমি সুখী নয়। আমার বিদ্যালয়ে প্রাক প্রথমিকের শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে আজ তিন বছর। অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষক জোৎনা আরা ডেফোটেশনে থাকায় প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। আমি ডেফোটেশনে থাকা প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষককে ফেরৎ চাই।