যাকে দেখব তাকেই গুলি করব : টিকটকে মিয়ানমার সেনা

fec-image

মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ সদস্যরা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকে বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়ে ভিডিও তৈরি করছেন। ডিজিটাল অধিকার রক্ষায় কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্টের (মিডো) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মিডো জানায়, তারা সামরিক বাহিনীর পক্ষে তৈরি করা আটশ’র বেশি ভিডিও পেয়েছেন যেখানে বিক্ষোভকারীদের হুমকি দেয়া হয়েছে। মিডোর নির্বাহী পরিচালক টাইকে টাইকে অং বলেন, টিকটকে ইউনিফর্ম পরা সেনা ও পুলিশ সদস্যদের শত শত ভিডিও রয়েছে। ‘এটি শুধু হিমশৈলের অগ্রভাগ’, বলেন টাইকে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সেনাবাহিনী ও জান্তা সরকারের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

গত ফেব্রুয়ারিতে বানানো এমন একটি ভিডিও রয়টার্স যাচাই করেছে। সেখানে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরিহিত এক ব্যক্তি তার রাইফেল ক্যামেরার দিকে তাক করে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে গালি দিয়ে বলছেন, ‘আমি তোমার মুখে গুলি করব…আমি সত্যিকারের বুলেট ব্যবহার করছি।’

সেই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘আজ রাতে আমি সারা শহরে টহল দেব এবং আমি যাকে দেখব তাকেই গুলি করব… তুমি যদি শহীদ হতে চাও, তোমার আমি ইচ্ছা পূরণ করব।’

রয়টার্স ওই ব্যক্তি অথবা টিকটকের অন্য ভিডিওগুলোতে যেসব ইউনিফর্ম পরা ব্যক্তি হাজির হয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। তারা সেনাবাহিনীর সদস্য কিনা সেটিও যাচাই করা যায়নি।

বিক্ষোভকারীদের হুমকি দেয়া ভিডিওগুলো অ্যাপ থেকে সরিয়ে নিচ্ছে টিকটক কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের পরিষ্কার কমিউনিটি গাইডলাইন রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, সহিংসতা উসকে দিতে পারে এমন কনটেন্ট অথবা ক্ষতি করতে পারে এমন ভুল তথ্য আমরা অনুমোদন দেইনা। মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সহিংসতায় উসকানি দেয়া অথবা ভুল তথ্য ছড়ানো সকল কনটেন্ট আমরা সরিয়ে ফেলছি। আমাদের গাইডলাইন লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট সরিয়ে নিতে আমরা সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি।’

সম্প্রতি ফেসবুক মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল পেজ বন্ধ করে দিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারও দেশটিতে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে রেখেছে।

মিডোর গবেষক টাইকে মনে করেন, সামরিক বাহিনী এখন অন্য প্লাটফর্মগুলোতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

সূত্র:  জাগোনিউজ২৪.কম

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন