সেনা দিবস

যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পাক সেনাপ্রধান অসিম মুনির

fec-image

সেনা দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ পেয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসিম মুনির। একাধিক গোয়েন্দা সূত্র সিএনএন ও নিউজ ১৮-কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, এবার মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।

১২ জুন (বৃহস্পতিবার) অসিম মুনির যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে সিএনবিসি। এতে বলা হয়, পাক-ভারত উত্তেজনার মধ্যে অসিম মুনিরের যুক্তরাষ্ট্র সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে করছেন বিশ্লেষকরা।

এছাড়া সূত্র জানিয়েছে, এবারের সফরে আফগানিস্তান ও ভারতের বিষয়ে পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলাপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতকে লক্ষ্য করে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও পাক সেনাপ্রধানকে অনুরোধ জানানো হতে পারে।

অসিম মুনিরের এই সফর পাক-ভারত ইস্যুর চেয়েও চীন-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কৌশলগতভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সখ্যতা।

উভয় দেশের অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) ও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে বেইজিংয়ের সঙ্গে ইসলামাবাদের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।

সূত্র বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিবেচনার সম্ভাবনা কম। এছাড়া পাক সেনাপ্রধানের এবারের সফর নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেও প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ইতিমধ্যেই দেশটির শক্তিশালী রাজনৈতিক দল তেহরিকে ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) মুনিরের সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পরিকল্পনা করছে। সূত্র জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন পাক সেনাপ্রধান।

তিনি তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো আশ্বাস চাইতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এর আগেও অন্য বিষয়ে মধ্যস্থতা চাওয়ার ইতিহাস রয়েছে পাকিস্তানের। তবে এসব ক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সংলাপকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং মধ্যস্থতায় নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করার সম্ভাবনা কম। ক্রমাগত চীনের কাছ থেকে ঋণ নেয়া পাকিস্তানের জন্য ফাঁদ হতে পারে- এমন সম্ভাবন থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে দেশটি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন