যেভাবে মারা গেল হাতির বাচ্চাটি


কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হাতি বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। মাতৃহীন ওই হাতি বাচ্চার বয়স হয়েছিল ৪ মাস। মারা যাওয়া হাতির বাচ্চাটি (পুরুষ) ময়না তদন্ত শেষে সাফারি পার্কের বেষ্টনীর ভেতরে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রের আইসোলেশন শেডে এ ঘটনা ঘটে। সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.মনজুর আলম হাতি বাচ্চার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পার্ক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি ৫ তারিখ টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং রেঞ্জের বনবিটের হরিখোলার বুড়াবুনিয়া গহীন পাহাড় থেকে হাতির বাচ্চারটি উদ্ধার করা হয়। গহীন পাহাড়ের ভেতরে গত ৪ জানুয়ারি গর্ভবতী একটি মা হাতি বাচ্চারটি প্রসব করেন।
হাতির বাচ্চাটি প্রসব করার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মা হাতিটির মৃত্যু হয়। পরে বন বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সদ্যজাত হাতি বাচ্চাটিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে উদ্ধার করেন।
পরে বনকর্মী ও স্থানীয় লোকজন হাতির বাচ্চাটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পরবর্তীতে নবজাতক বাচ্চাটিকে পালন ও সুচিকিৎসার জন্য ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে হস্তান্তর করে বন বিভাগ। সেই থেকে সাফারি পার্কের চিকিৎসা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানেই বেড়ে উঠছিল মাতৃহীন হাতি বাচ্চাটি।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রের সার্জন খাতেম জুলকার নাইন বলেন, গত ৫ জানুয়ারি হাতির বাচ্চাটি টেকনাফ থেকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে আনার পর দুইজন মাহুত ও হাসপাতালের কর্মীরা নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে বাচ্চাটিকে দেখভাল করে আসছিল।
খাবার হিসেবে মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে হাতির বাচ্চাটিকে নিয়মিত ল্যাকটোজেন-১ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হতো।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হাতি বাচ্চাটি মারা যায়। পরে চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আরিফ উদ্দিন ও আমি উপস্থিত থেকে হাতি বাচ্চাটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করি।
ময়না তদন্তে হাতির বাচ্চার শরীরে রোগ জনিত ভাইরাল ডিজিজ সমস্যার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বয়স অনুপাতে হাতির বাচ্চার রোগ প্রতিরোধে শারীরিক সক্ষমতা কম ছিল বলেও জানান তিনি।