parbattanews

যেভাবে সহজেই পরিষ্কার করবেন গরু ও খাসির ভুঁড়ি

কোরবানির পর পশুর ভুঁড়ি পরিষ্কার নিয়ে ঝামেলায় পড়েন কমবেশি সবাই। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় কষ্ট করে পরিষ্কার করতেই হয়। যদি অন্যান্য সময় বাজার থেকে পরিষ্কার করা ভুঁড়ি সহজেই কেনা যায়।

তবে কোরবানির পর পশুর ভুঁড়ি পরিষ্কারের দায়িত্ব পরে যার যার নিজের উপরই। গরু ও খাসির ভুঁড়ি পরিষ্কার করাটা বেশ ঝামেলা ও সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই বলে তো আর ভুঁড়ি খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে না।

ভুঁড়ির গায়ে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। তাই খাওয়ার আগে খুবই ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হয়। তবে ২ পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই কিন্তু পরিষ্কার করতে পারবেন ভুঁড়ি। জেনে নিন করণীয়-

প্রথম পদ্ধতি

বড় এক হাঁড়ি পানি ফুটিয়ে নিন। এরপর ভুঁড়ি ছোট টুকরা করে কেটে ভালো করে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন। এদিকে চুলার পানি পানি ফুটে উঠলে আলাদা একটি পাত্রে ভুঁড়ির টুকরোগুলো পানিতে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখেই তুলে নিয়ে চামচ দিয়ে ধরে আরেকটি চামচ দিয়ে আঁচড়ে কালো ময়লা তুলে নিন।

একটু ঠান্ডা হলে চামচ সরিয়ে হাত দিয়ে ধরে আঁচড়ে তুলুন কালো ময়লা। ভুঁড়ির যে অংশ খাঁজকাটা থাকে, সেই অংশ আরও কয়েক সেকেন্ড বেশি ভেজাবেন গরম পানিতে। তবে ১৫-১২০ সেকেন্ডের বেশি গরম পানিতে রাখবেন না ভুঁড়ি। এতে ময়লা আরও আটকে যেতে পারে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি

ভুঁড়ি কয়েকটি বড় টুকরা করে নিন। এরপর পানি গরম করে সেদ্ধ করে নিন ভুঁড়ি। চুলা থেকে নামিয়ে গরম থাকা অবস্থায়ই হাতে গ্লাভস পরে চামচ দিয়ে ঘষে উঠিয়ে ফেলুন ময়লা।

প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার করা হয়ে গেলে একটি বড় প্যানে পরিমাণ মতো পানি গরম করুন। ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া দিয়ে দিন পানিতে। কেটে রাখা ভুঁড়ির টুকরো দিয়ে বলক ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

১৫-২০ মিনিট পর দেখবেন তেল ও ময়লা ভেসে উঠবে। এরপর ঝাঁঝরিতে উঠিয়ে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। গরম অবস্থায় চামচ দিয়ে চেঁছে উঠিয়ে ফেলুন বাকি ময়লা।

ভুঁড়ি পরিষ্কারের পর তা পানি ও হলুদ দিয়ে জ্বালিয়ে রাখুন। এতে ভুঁড়ি সেদ্ধ হয়ে যাবে। তারপর ঠান্ডা হলে ভুঁড়ি টুকরো করে কেটে রান্না করুন খুব সহজেই।

আবার চাইলে ভুঁড়ি সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা করে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণও করতে পারেন অনেক দিন পর্যন্ত। এজন্য সেদ্ধ হওয়ার পর পানি ঝরিয়ে কয়েকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে তবেই ফ্রিজে রাখুন। সূত্র: জাগোনিউজ

Exit mobile version