parbattanews

রাখাইনে একটি ফেরিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে আরাকান আর্মি

ফাইল ছবি

মিয়ানমারের রাখাইনে একটি ফেরিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। সোমবার এই সংগঠনের মুখপাত্র বলেছেন, সেনাবাহিনীকে কালাদান নদী ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। মিয়ানমার টাইমস’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

সেনাবাহিনী পরিচালিত মিয়াবতী সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মেরিন প্রিন্সেস নামের ফেরিতে করে সেনাবাহিনীর পাঁচটি ভারী যন্ত্রপাতি নদী পথে নেওয়া হচ্ছিল। পথে টিনমা গ্রামে পৌঁছার পর ফেরিটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় আরাকান আর্মি ফেরিটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে এবং ক্রুদের বন্দি করে। গুলিতে ফেরি ও যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলাকারীরা ক্রুদের ছেড়ে দিয়েছে তবে চারটি মোবাইল ফোন ও ২০০ ডলার নিয়ে গেছে।

সেনাবাহিনী বলেছে, নিরাপত্তাবাহিনীর অনুমতি ছাড়াই ফেরিটি যাতায়াত করছিল। ফলে তারা নিরাপত্তা দিতে পারেনি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, মার্চ থেকেই আরাকান আর্মি চোরাগুপ্তা হামলা চালাচ্ছে সরকারি প্রকল্প ও শ্রমিকদের লুট করতে। সেনাবাহিনীর প্রকল্প ও কর্মরতদের সুরক্ষা দিতে অতিরিক্ত সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে।

২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে রাখাইনে ঘাঁটি তৈরি করতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে। জানুয়ারিতে সরকারি স্থাপনায় এই গোষ্ঠীর হামলায় বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য নিহত ও আহত হয়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। এ সংঘাতে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আরাকান আর্মির সদস্যদের বেশিরভাগই রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর। মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা রাখাইনের আরও বেশি স্বায়ত্তশাসন দাবি করে আসছে।

Exit mobile version