রাখাইনে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪, আহত ৬
গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিয়ানমারের রাখাইনের মিনব্যা শহরতলিতে সেনাবাহিনী গুলিতে ৪জন নিহত ও ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন, রোহিঙ্গা মুসলিম চেনবালে গ্রামের ইউসুফ আলী(১৭), মিনব্যা শহরের সেংথং এলাকার সেনথোয়াই(৩১), ক্যম্রেটথোয়াই (প্রঃ থোয়াইনুশে)(৩১), নারেন্ গ্রামের উচেনক্য(৬০)।
সেংথং এলাকার নিহত দু’জন মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথিমধ্যে চাইরে সড়ক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিকটে পৌঁছুলে সেনাবাহিনীর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই বন্ধু নিহত হয় বলে নিহত সেনথোয়াই-র বড়ভাই সেনথাইক্-উ জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি টহল দল উক্ত এলাকায় আসার পর আনুমানিক একমিনিট পর্যন্ত গোলাগুলি হয়। গুলির শব্দ শুনে বাড়ির বাহিরে তাকালে রাস্তায় দুটি লাশ দেখতে পায়।
নারেন গ্রামের উচেনক্য মহিষ চড়ে নিজ গ্রামে আসার পথে পথে রামং ব্রিজের মাথায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট এলাকায় পৌঁছুলে তার শরীরে গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও প্রচুর পরিমাণ রক্তপাতে বাবাকে বাঁচানো যায়নি বলে নিহতের ছেলে কোখাংমংওয়াং জানান।
রোহিঙ্গা মুসলিম চেনবালে গ্রামটি মিনব্যা রামং ব্রিজের কাছাকাছি একটি গ্রাম। সেই গ্রামের ইউসুফ আলী, সে নারেন গ্রামের আশেপাশে গরু চরাচ্ছিল। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে নিজ গ্রামে ছুটে আসলে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাথে সাথে মারা যায়।
এ ঘটনায় রোহিঙ্গা মুসলিম চেনবালে গ্রামের সাধারণ গ্রামবাসী বাড়িতে অবস্থানরত ৬জনের শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগে আহত হয়।
এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২২ এপ্রিল রাত ৮ টা ১০ মিনিটে মিনব্যা শহরতলীর রামং ব্রিজ সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট এলাকায় একটি মোটরসাইকেলকে সন্দেহজনক মনে হলে গতিরোধ করতে বলে। কিন্তু মোটরসাইকেল না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চেকপোস্টে কর্তব্যরত সৈনিক ফাঁকা গুলি চালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন আরোহী মারা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল রাখাইনে মিনব্যা শহরের রামং ব্রিজের সেনাবাহিনীর আলোচিত এই চেকপোস্ট এলাকায় ডব্লিউএইচও’র গাড়িকে গুলি চালিয়ে ড্রাইভারকে হত্যা করা হয়েছে। ২১ এপ্রিল জীবানুনাশক কোম্পানীর মালামাল সরবরাহের নিয়োজিত গাড়িকে গুলি করলে ড্রাইভার নিহত হন।