parbattanews

রাঙামাটিতে অবৈধভাবে পাচারকালে জ্বালানি কাঠ উদ্ধার

কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে এ সব উদ্ধার করা হয়

রাঙামাটিতে অবৈধভাবে পাচারকালে জ্বালানি কাঠ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ বন বিভাগের ঘাগড়া বন ও শুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ি। যার পরিমাণ প্রায় ৫০০ ঘনফুট। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে এ সব উদ্ধার করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ঘাগড়া বন ও শুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউখালী ঘাগড়া ইউনিয়নের আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা অভিযানে নামে ঘাগড়া বন ও শুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ির স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন। এ সময় জ্বালানি কাঠগুলো চাঁদের গাড়ি থেকে নামাচ্ছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। পরে বন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে বন বিভাগ জ্বালানি কাঠগুলো উদ্ধার করে ঘাগড়া বন ও শুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে ঘাগড়া বন ও শুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ির স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমরা গোপন সূত্রে জেনেছি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাঙামাটির ঘাগড়া, কলাবাগান ও সাপছড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে কাঠ কেটে রানীরহাটের আশ-পাশে গড়ে উঠা ইট ভাটাগুলোতে নিয়ে যাচ্ছিল। তখনি আমরা অভিযান পরিচালনা করি। আর কাঠ জব্দ করি। এ সময় কাউকে আটক করা না গেলেও অবৈধ কাঠ পাচারকারীর বিরুদ্ধে ১৯২৭ সালে বন আইনের (২০০০ সংশোধিত) ৪১ধারা অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বনবিভাগের ১৯৭৩ সালের বিধি ৫নং মোতাবেক ৫২(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উদ্ধার করা কাঠগুলো শনিবার দুপুরে রাঙামাটি বন বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, রাঙামাটির রানীরহাট এলাকার আশ-পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫০থেকে ৬০টি ইটভাটা। যার জ্বালানির বিরাট অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পাহাড়ের গাছ-পালা। এসব ইটভাটার কারণে রাঙামাটির বন ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হলেও নজড়দাঁড়ি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

Exit mobile version