parbattanews

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান

ততততবআ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও ডেরায় তল্লাসী চালিয়ে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, চাাঁদা আদায়ের রশিদ, চরমপন্থী বইপুস্তকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র মতে, আঞ্চলিক পাহাড়ী সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, সেনাবাহিনী, জাতীয় চেতনা বিরোধী বিভিন্ন ঘৃণাত্মক প্রচারণা চালিযে আসছিলো। রাষ্ট্রীয় চেতনা ও জাতীয়তাবোধ বিরোধী, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো অপপ্রচারকারীদের দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই তৎপর ছিলো। তারই অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি যৌথ দল নানিয়ারচর উপজেলার কুতুকছড়ির উপরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

সূত্র জানিয়েছে, কিন্তু দিনের বেলায় অভিযান পরিচালনা করায় নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে যৌথবাহিনী উপরপাড়া দাড়পাত্তা ক্লাবে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অস্ত্রসহ ছবি ও মন্টি চাকমার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাংগঠনিক তথ্যাদি সম্বলিত একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, ৩০টি চাঁদার রশিদ বই, ৩,৫০০ আদায়কৃত চাঁদার টাকা, ১১৪ টি ইউপিডিএফ এর হাত পতাকা এবং ১৮ টি চরমপন্থী রাজনৈতিক বই, ৪ টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ সকল তথ্য থেকে নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত হয় যে, উক্ত ক্লাবটি আসলে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের একটি গোপন ডেরা ছিলো।

নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খবর ছিলো, ইউপিডিএফ এর সশস্র নেতা অর্কিড চাকমা, চিরজীব দেওয়ান, কার্তিক চাকমা, উদয় চাকমা উক্ত ক্লাবে একটি গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিল। বর্তমানে উক্ত ব্যক্তিবর্গ সকলেই পলাতক।

উক্ত ঘটনাস্থলে নবনির্বাচিত মেম্বার সঞ্চয়ন চাকমার উপস্থিতিতে তল্লাশীপূর্বক উপরোক্ত দ্রব্যাদি সমূহ পুলিশ ও সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক করা হয়।

সূত্র আরো জানিয়েছে, ক্লাব থেকে উদ্ধার করা ডেস্কটপ কম্পিউটারে ইউপিডিএফের সামরিক পোশাক পরহিত অনেক সশস্ত্র নেতার ছবি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী এ সকল তথ্য খতিয়ে দেখে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। উদ্ধারকৃত দ্রব্যাদি পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।

Exit mobile version