রাঙামাটিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেএসএস এগিয়ে
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি:
আগামীকাল সোমবার সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটির জেলায় দ্বিতীয় ধাপে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় প্রশাসন সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে।
জেলার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট বক্স এবং পেপার পেপার পৌছানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জেলায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের মতো বিএনপি বা সমমনা দলগুলো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। যদিও কিছু কিছু স্থানে বিএনপির কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
কিন্তু পাহাড়ের অনিবন্ধিত সশস্ত্র দলগুলো তাদের শক্তির মহড়া দিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর হাড় কাপিয়ে দেয়। তদের ভয়ে জাতীয় রাজনৈতিক নেতারা সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসব সশস্ত্র দলগুলোর আক্রমনের শিকার হয়েছেন।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাঙামাটি আসনটি জিততে পারলেও সমষ্ঠিগত তথা উপজেলা ভিত্তিক নির্বাচনে জেএসএস থেকে অনেক পিছিয়ে ছিলো।
যে কারণে এক বাক্যে বলা চলে আওয়ামী লীগ থেকে জেএসএস যোজন যোজন শক্তির পার্থক্য রয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে জেএসএস এবার সর্বোচ্চ আসনটি নিজেদেরে দখলে নিয়ে নিবে।
এবার কথা আসতে পারে বিএনপির একটি ভোট ব্যাংক আছে। তারা কাদের সমর্থন দিবে। পাহাড়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বিএনপি-জেএসএস একটি পরিবার। প্রতিটি নির্বাচনে বিএনপি জেএসএসকে ছাড় দেয় না হয় জেএসএস বিএনপিকে ছাড় দেয়। এবারও তার প্রত্যয় ব্যক্ত ঘটবে না।
এনিয়ে আগেই বিএনপিরসাথে সমঝোতা করে রেখেছে বিএনপি। যদিও বিএনপি বিষয়টি প্রকাশ্যে শিকার না করলেও তৃণমূল বিএনপি এবং জেএসএসরনেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে কাপ্তাই এবং লংগদু উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। যে কারণে ওইসব এলাকায় নির্বাচনী আমেজ তেমন নেই। তাছাড়া ওই এলাকাগুলোতে জেএসএসরমতো সংগঠনের শক্তিশালী অবস্থান না থাকায় এবং বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে আসায় আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।
বাকী ৮ উপজেলার মধ্যে ২ উপজেলা আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিলেও ৬টিতে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে সংগঠনটি।
যে ২ উপজেলা আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে সেগুলো হলো- নানিয়ারচর এবং বাঘাইছড়ি। এ ২ উপজেলা জেএসএস সংস্কার শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে এবং আওয়ামী লীগের বিজয়ে সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
কেননা বর্তমানে সংগঠনটি আওয়ামী লীগের সাথে অলিখিত জোট গঠন করেছে। এ জোটে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইউপিডিএফ সংস্কার।
কিন্তু জোটগত শক্তিশালী করার চেষ্টা করলেও যে ৬টি উপজেলা যেমন রাঙামাটি সদর, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, রাজস্থলী এবং কাউখালী উপজেলাগুলোর মধ্যে কাউখালী এবং রাঙামাটি সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ের সম্ভবনা থাকলেও বাকী ৪টি উপজেলায় জেএসএস বিজয় সুনিশ্চিত এটা বলা যায়।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটানিং অফিসার এসএম শফি কামাল জানান, নির্বাচন সুষ্ঠ করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। সকল পরিস্থিতি মোকবেলায় প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।