রাঙামাটিতে ছাত্রীদের হিজাব খুলে ফেললেন শিক্ষিকা দিপালী দেওয়ান


রাঙামাটি শহরের রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা দিপালী দেওয়ান নামের এক শিক্ষিকা নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলেছেন বিদ্যালয়ে হিজাব পড়ে আসতে পারবা না। এসময় বেতের মারধরের ভয় দেখিয়ে ও ধমকিয়ে জোরপূর্বক হিজাব পড়া ছাত্রীদের হিজাব খুলে ফেলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) জেলা প্রশাসক বরাবর এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা নূর মোহাম্মদ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হিজাব পড়ে আসতে হলে স্কুলে নয় মাদ্রায় গিয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য মুসলিম হিজাবধারী শিক্ষার্থীদের শাসিয়ে দেন শ্রেণি শিক্ষিকা দিপালী দেওয়ান। এছাড়াও উক্ত শিক্ষিকার হাতে প্রায় সময় মুসলিম শিক্ষার্থীরা নাজেহাল হওয়ার অভিযোগও করেছে শিক্ষার্থীরা। টয়লেটে গেলে, অন্য শিক্ষকদের সাথে কথা বললেও হিজাবধারী শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি তাদের পেছনে অন্য শিক্ষার্থীদের লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনতোষ মল্লিকের নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরপরই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত জরুরি বৈঠকে উক্ত ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা দিপালী দেওয়ানকে লিখিত পত্রের মাধ্যমে তার সকল অযোক্তিক (শিক্ষা কারিকুলাম ব্যতিরেকে) আচরণের তথ্য উল্লেখপূর্বক প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনতোষ মল্লিক।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা দিপালী দেওয়ান বলেন, আমি বিষয়টি সেভাবে বলিনি, হিজাবের কারণে শিক্ষার্থীদের সময় ব্যয় হয় সেটি বুঝাতে গিয়ে বলেছিলাম। এখন বিষয়টি নিয়ে আমার প্রধান শিক্ষকও আমার প্রতি অবিচার করছেন। হিজাব পড়ালেখাপড়ায় কীভাবে ব্যাঘাত ঘটায় এমন প্রশ্নের উত্তরে উক্ত শিক্ষিকা কোনো সুদুত্তর দিতে পারেননি।
রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনতোষ মল্লিক জানিয়েছেন, আমরা বিষয়টি অবহিত হয়েছি এবং এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমি আমার শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে উক্ত শিক্ষিকাকে সতর্ক করে একটি চিঠিও দিয়েছি। তিনি জানান, হিজাব পড়া না পড়া এটা নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের কোনো ধরনের নিয়ম নেই এবং এটা শিক্ষানীতিতেও উল্লেখ নেই।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন: