parbattanews

রাঙামাটিতে জেএসএস সংস্কার কমান্ডারকে গুলি করে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে গেলো সহকর্মী

নিহত জেএসএস কমান্ডার বিশ্বমিত্র চাকমা।

রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে জেএসএস সংস্কার দলের এক সামরিক কমান্ডারকে গুলি করে হত্যা করেছে একই দলের সশস্ত্র কর্মী। বুধবার রাত ৩টার সময় বাঘাইছড়ির বাবুপাড়া এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় দায়িত্ব পালনের সময় সামরিক কমান্ডার বিশ্বমিত্র চাকমা ওরফে যুদ্ধ চাকমাকে (৩৩) কাছ থেকেই গুলি করে হত্যা করেছে তার সাথেই দায়িত্ব পালনরত সুজন চাকমা। নিহত যুদ্ধ চাকমার বাড়ি বঙ্গলতলী ইউনিয়নের  দক্ষিণ হাগলাছড়া গ্রামে। তার পিতা বিশ্বমিত্র চাকমা।

রাত যখন গভীর হয় তখন অন্য সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়লে কৌশলে তাদেরকে তালা মেরে দেয় সুজন চাকমা। পরে এম ফোর অস্ত্র দিয়ে সামরিক কমান্ডার যুদ্ধ চাকমাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তিনটি অস্ত্র একে-৪৭ একটি,  এম ৪ একটি, পাইপ গান একটি ও ২৫০ রাউন্ড গুলি নিয়ে  পালিয়ে যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার আগে বিশ্বমিত্র চাকমাকে কৌশলে মদ খাইয়ে মাতাল করেছিলো খুনী। জেএসএস সংস্কার সূত্র এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

সংস্কারপন্থী জেএসএস এর দলীয় দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নিহত যুদ্ধ চাকমা বিগত চার বছর আগে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস থেকে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে এসে সংস্কারপন্থী জেএসএস এমএন লারমা দলে যোগদান করে। পরবর্তীতে তাকে সংগঠনটির বাবু পাড়া এলাকার সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিদিন রাতে তার নেতৃত্বেই এলাকায় সামরিক টহল দিতো একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী।

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে সশস্ত্র অবস্থায় ডিউটিতে থাকাকালীন সময়ে তার সাথে থাকা সহকর্মী সুজন চাকমা গভীর রাত ৩টার সময় গুলি করে যুদ্ধ চাকমাকে হত্যা করে। সুজন চাকমা মূলত জেএসএস মূল দলের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছিল এবং হত্যার পর তাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো নিয়ে তিনি মূল সংগঠনের উদ্দেশ্যে পালিয়ে গিয়েছেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে।

বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাবু পাড়া এলাকায় গভীর রাতে নিজ দলের কর্মীর গুলিতে যুদ্ধ চাকমা নামে একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনটি অস্ত্রসহকারে সুজন চাকমা নামে একজন পালিয়েছ। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সুজন চাকমা জেএসএস সন্তু লারমা দলের সাথে পালিয়ে যেতে পারে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেওয়া হবে।

Exit mobile version